শীতকালে সাধারণত পেট সংক্রান্ত সমস্যা এবং হজমের অসুবিধা খুব একটা হয না। তবুও যে-কোনও মরশুমেই পেটের সুস্থতা একান্ত কাম্য। কারণ এতেই লুকিয়ে আছে সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি।
বর্তমানে আমাদের জীবনশৈলীতে বাইরের খাবার, জাংক ফুড বিশেষ গুরুত্ব দখল করে রেখেছে। তার ফলে গ্যাস, বদহজম, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ব্যথা ইত্যাদির সমস্যা হতে পারে। সুতরাং পেট ফিট রাখার ঘরোয়া উপায় হল নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন এবং দই খান।
জল : পেটের সমস্যা দূর করে ত্বকের গ্লো বাড়াতে সাহায্য করে জল। এছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অ্যাসিডিটি হলেও জল খেলে সমস্যা কমে।
দই : দই-এর প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। দই-তে সামান্য জোয়ান মিশিয়ে খেলে কনস্টিপেশন-এর সমস্যা থাকে না। এছাড়াও রোজ দই খেতে পারলে পেটের অন্যান্য আরও নানা সমস্যা থেকে পেট-কে সুস্থ রাখা যায়।
পুদিনা : পুদিনা পেট ঠান্ডা রাখে। জলে ফুটিয়ে মিন্ট-টি হিসেবে খেতে পারেন।
জোয়ান : জোয়ান পেট হালকা রাখে এবং পেট ব্যথায় আরাম দেয়।
বেলেডোনা : হোমিওপ্যাথি ওষুধ, পেট মোচড় দিয়ে ব্যথা করলে খুব উপকার দেয়।
আমলকী : ১ কাপ জলের সঙ্গে আমলকীর রস মিশিয়ে রোজ সকালে খেলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ সব বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে।
গরম জল : সকালে হালকা গরম জল খেলে শরীরের মেটাবলিজম রেট বেড়ে যায়, ফলে হজম প্রক্রিয়া সুচারু হয়। এছাড়াও টাটকা সবুজ শাকসবজি, মরশুমি ফল, ড্রাই ফ্রুটস, অঙ্কুরিত দানাশস্য পেট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাড়াতাড়ি না করে ধীরে ধীরে চিবিয়ে খাবার খেলে হজমও তাড়াতাড়ি হবে এবং পেটে গ্যাসেরও সমস্যা হবে না।
সকালে খালি পেটে অ্যাসিড জাতীয় খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা বাঞ্ছনীয়। যে-কোনও টক ফল (কমলালেবু, মৌসুম্বি, লেবু) টম্যাটো, তেলমশলা দেওয়া খাবার, সোডা, চা, কফি ইতাদি না খাওয়াই ভালো।