আমাদের চোখ একটি অত্যন্ত উন্নত মানের ক্যামেরার মতো। চোখের ভিতরে প্রোটিন দিয়ে তৈরি অত্যন্ত ট্রান্সপারেন্ট একটা ন্যাচারাল লেন্স থাকে। এই লেন্স ঘোলাটে বা অস্বচ্ছ হয়ে গেলে, তাকে ক্যাটারাক্ট বা ছানি বলে। এখন এই ছানি সার্জারি করা হচ্ছে ফেমটো লেজার-এর সাহায্য নিয়ে। কারণ ফেমটো লেজার অ্যাসিস্টেড ক্যাটারাক্ট সার্জারি বেশি নিঁখুত এবং নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে ইতিমধ্যেই। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এবং পরামর্শ দিয়েছেন দিশা আই হসপিটাল-এর ক্যাটারাক্ট অ্যান্ড রিফ্রাক্টিভ সার্ভিসেস-এর সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

ক্যাটারাক্টের লক্ষণ কী কী?

রামধনু রঙা বর্ণমালা দেখা, ঝাপসা দেখা, রঙের মাত্রা বা উজ্জ্বলতা কমে যাওয়া, রোদে বা সামনে থেকে আসা আলোতে অসুবিধা হওয়া, চোখে ক্লান্তি— এমনকী চোখ বা মাথা ব্যথাও হতে পারে।

এছাড়াও আরেকটা বিভ্রান্তিকর লক্ষণ আছে। চশমা ছাড়াই কাছের জিনিস ভালো দেখা। এতদিন বই বা নিউজ পেপার পড়তে যে চশমা ছাড়া চলত না, সেটার আর ব্যবহার করার দরকার-ই হচ্ছে না। ভ্রম হয় চোখ ভালো হয়ে গেছে মনে করে। পরিভাষায় একে বলা হয় সেকেন্ড সাইট, এটাও ক্যাটারাক্টের লক্ষণ।

কোন বয়সে ক্যাটারাক্ট হয়?

ক্যাটারাক্টের কোনও বয়স হয় না, যে-কোনও বয়সেই ছানি পড়তে পারে। এমনকী শিশুরাও ক্যাটারাক্ট নিয়ে জন্মাতে পারে। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর আমাদের চোখের লেন্সের প্রোটিনগুলি ভাঙতে শুরু করে। ৫০-৬০ বছর বয়সে বেশিরভাগ লোকই একটু ঝাপসা দৃষ্টি অনুভব করেন। তবে লক্ষণগুলি প্রথমে তেমন বোঝা নাও যেতে পারে।

কী কারণে ক্যাটারাক্ট হয়?

ক্যাটারাক্ট হওয়ার নির্দিষ্ট কোনও কারণ হয় না। যদিও এটা একটা এজ রিলেটেড অর্থাৎ বয়সজনিত অসুখ। শরীরে ডায়াবেটিস জাতীয় কোনও মেটাবলিক ডিজিজ থাকলে কম বয়সেই ক্যাটারাক্ট হতে পারে। এছাড়া স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের ব্যবহারে কিংবা চোখে আঘাত লেগে থাকলে অনেক আগেই ক্যাটারাক্ট আসতে পারে।

কীভাবে ক্যাটারাক্ট হওয়া আটকানো যায়? প্রতিকার কী?

কোনও পরিচিত ওষুধ, চোখের ড্রপ, ব্যায়াম বা চশমা ব্যবহার করে ক্যাটারাক্ট নিরাময় বা প্রতিরোধ করা যায় না। অপারেশনই একমাত্র চিকিৎসা।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...