কোভিড রিপোর্ট পজিটিভই হোক অথবা নেগেটিভ, হাসপাতালে ঘুরে এসেছেন কিংবা কোয়ারেন্টাইন-এ আছেন এই সবকিছু ব্যাপারে অবশ্যই খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। কারণ শীত আসন্ন, আর এই মরশুমে ছোটো থেকে বড়ো, সবারই করোনার ব্যাপারে সাবধানতা Post Covid Care একান্ত জরুরি।
Post Covid Care বাড়িতে কীভাবে নেবেন
- শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমোনো জরুরি
- ব্যায়াম অবশ্যই করা উচিত। ১৫ মিনিটের জন্য হলেও সূর্যের আলোয় হেঁটে আসা অথবা ঘরের মধ্যে অ্যারোবিকস করাটা আবশ্যক
- এই ধরনের অ্যাক্টিভিটি, মাংসপেশিতে রক্তসঞ্চার বাড়িয়ে হাড়েরও ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-ডি-এর প্রবাহ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এর ফলে শরীরের স্ট্যামিনা বৃদ্ধি পায়
- পুষ্টিকর, বাড়ির তৈরি খাবার, চিকেন, কম মিষ্টি, প্রোটিন, ফল, স্যালাড, ফলের রস, টাটকা শাকসবজি, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
গত দেড় বছরের মধ্যে ক্লিনিকে যেসব রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের মধ্যে বেশির ভাগই কোভিড থেকে সেরে উঠেছে। তবু ১-২ মাস আগে পরিবারে কেউ পজিটিভ হয়ে থাকলেও, বর্তমানে তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মানুষের মনে ভয় এমন ভাবে চেপে বসেছে যে তারা মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমাদের এই দিকটায় বেশি করে নজর দিতে হবে। দেখতে হবে যেন কেউ পুরোপুরি মানসিক রোগী হয়ে না পড়ে।
কী কী রোগের শিকার হচ্ছে বেশি
প্যানিক ডিসঅর্ডার: হঠাৎ করে খুব ঘাবড়ে যাওয়ার লক্ষণ যার ফলে বুকে ব্যথা হওয়া, নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসা, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, মাথাঘোরা, বমি বমি ভাব, অজ্ঞান হয়ে পড়ব এরকম মনে হওয়া ইত্যাদি হয়ে থাকে কিন্তু ডাক্তারি পরীক্ষায় সব রিপোর্ট নর্মাল আসে।
ইনসোমনিয়া: ঘুম না আসা, ঘুমের মধ্যে অঘটন ঘটে যাওয়ার ভয়ে ঘুম না আসা, ঘুমের মধ্যে ভয় পেয়ে ঘুম ভেঙে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করা, ঘাম হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।
সোমেটাইজেশন ডিসঅর্ডার: সবসময় নিজেকে অসুস্থ মনে হওয়া, ছোটো ছোটো কারণে ভয় পেয়ে যাওয়া, বেশি চিন্তা করা, নেটে অসুখের লক্ষণগুলো খুঁজতে থাকা, বারবার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া এবং টেস্ট করানো, রিপোর্ট নর্মাল এলেও কিছুতেই সেটা মেনে নিতে না করা।