রাতে হঠাৎ বুকে ব্যথা। গ্যাস-অম্বল ভেবে সবসময় ফেলে রাখবেন না। হার্টের সমস্যাও হতে পারে। সঠিক সময়ে তাই সতর্কতা জরুরি। জেনে নেওয়া দরকার কী করা উচিত, কী নয়। প্রয়োজন হার্টের সমস্যা সম্পর্কে অল্পবিস্তর ধারণা রাখারও। তাহলে হঠাৎ করে সমস্যায় পড়লে সমাধানের উপায় হাতড়ে বেড়াতে হবে না। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
আধুনিক বিজ্ঞান বলে হার্ট ডিজিজের অন্যতম কারণ স্ট্রেস ও টেনশন। স্ট্রেস ও টেনশনের মধ্যে দিয়ে যেতে হলে, তার প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে বাধ্য। অথচ যে জীবনশৈলীর আবর্তে পড়ে আমাদের হাজার ঝক্বি সামলে বেঁচে থাকা, তাতে স্ট্রেস এড়ানো কঠিন। স্ট্রেস বাড়লে বাড়বে শারীরিক সমস্যা।
ঝিমুনি ভাব, দাঁত, চোয়ালের সমস্যা, মাথা ধরা, হজমের সমস্যা, মাসল পেন, ঘুম ঠিক না হওয়া, শরীরের ওজন হঠাৎ করে কমা বা বাড়ার মতো শারীরিক সমস্যাগুলো যে-কোনও বড়ো রোগের সূত্রপাত বলে ধরে নিতে হবে। আপনি উদ্বেগে ভোগা মানেই, সবসময় দুঃশ্চিন্তা ঘিরে থাকবে আপনাকে। সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম হওয়া, ভুলে যাওয়া এবং মনোসংযোগের অভাব দেখা দেবে। এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি স্ট্রেসের প্রভাব পড়বে আপনার আচার-আচরণেও। কথায় কথায় রেগে যাওয়া, চিৎকার করা কমন সিনড্রোম। কান্নাকাটি, অবসাদ, একাকীত্ব, নেতিবাচক চিন্তাভাবনা, নার্ভাস হওয়া, দুর্বলতা অনুভব করা স্ট্রেসের প্রাথমিক প্রভাব।
অতিরিক্ত স্ট্রেস কোলেস্টেরল, ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি করে। একসময় যা হার্ট ডিজিজের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্ট্রেসকে কখনও দীর্ঘ হতে দেবেন না। উপশমের রাস্তা খুঁজে বার করুন। স্ট্রেস বাড়তে থাকলে শরীর-ই আপনাকে সিগন্যাল দেবে, যা হালকা ভাবে নেবেন না।
আলোচিত সমস্যাগুলো দেখা দিলে, দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। স্ট্রেস কমাতে হবে। কাজের ফাঁকে সময় বের করে নিয়ে বন্ধু-পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, নিজের চিন্তা সমস্যা নিয়ে পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন। মন হালকা হবে। কাজের চাপ নিন, কিন্তু তাকে কখনও স্ট্রেস বা টেনশনের কারণ হতে দেবেন না, কারণ এই উদ্বেগই আপনার জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। এবিষয়ে জানালেন কার্ডিয়োলজিস্ট ডা. মুন্না দাস।