আপনার কাঠামো সুগঠিত হলে যে-কোনও পোশাকেই আপনাকে ভালো মানাবে। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেদও বাড়ে। আর সেখানেই প্রয়োজন হয় নিয়ন্ত্রণের।খাবারের পরিমাণে যেমন রাশ টানা দরকার, তেমনই প্রয়োজন ব্যায়ামের। এই সর্বাঙ্গীন Fitness and lifestyle management আপনার জীবনকে সুন্দর করে তুলবে।
ব্যায়াম করার আরও কিছু সুফল তো আছেই৷ এর ফলে বাড়ে আত্মবিশ্বাস, মোটিভেশন আসে৷ প্রথমদিকে শরীর একটু বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে, পেশিতে ব্যথা হয় বটে, তবে কিছুদিনের মধ্যেই দেখবেন ব্যায়াম করার ফলে কেমন ঝরঝরে লাগছে নিজেকে। সারাদিনে আগের চেয়ে বেশি কাজ করতে পারছেন৷ রাতে ঘুম ভালো হচ্ছে, বিরক্তি গ্রাস করে নিচ্ছে না আপনাকে৷ সেই সঙ্গে বাড়তি মেদ ঝরিয়ে টানটান শরীর ফিরে পাওয়াটা তো একটা উপহার! আর কোন মেয়েই না নির্মেদ পেট চান? কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, পেটে একবার মেদ জমে গেলে সেটা তাড়ানো খুব মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়৷ তাই খাওয়াদাওয়া আর ব্যায়ামের পারফেক্ট কম্বিনেশনই একমাত্র কাজে দেবে৷
কোন কোন ব্যায়াম দিয়ে আরম্ভ করবেন?
প্লাঙ্ক কোর মাসলকে শক্তিশালী করে তোলার ক্ষেত্রে খুব কার্যকর ৷ মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন৷ কনুইয়ের উপর ভর দিয়ে দুই হাত মুঠো করে রাখুন৷ তার পর পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে পুরো শরীরটা মেঝে থেকে উপরে তুলুন৷ মাথা থাকবে সোজা৷ আপনার শরীরটা ঠিক একটা ব্রিজের আকার নেবে৷ শুধু কোর নয়, আপনার কাঁধ, হিপ, পেট, গ্লুটসের মাসলকেও প্লাঙ্ক শক্তিশালী করে তোলে৷ প্রথমদিকে চেষ্টা করুন অন্তত 30 সেকেন্ড প্লাঙ্ক পজিশন ধরে রাখার৷ তার পর সেটা বাড়াতে বাড়াতে দু’ মিনিটে নিয়ে যান৷ সেই সঙ্গে অভ্যেস করুন সাইড প্লাঙ্কও৷ তবে খেয়াল রাখবেন, প্লাঙ্ক করার সময় শরীর যেন একেবারে সোজা থাকে, না হলে চোটের আশঙ্কা আছে৷
পেটের চর্বি কমাতে ক্রাঞ্চেস
ক্রাঞ্চ নিঃসন্দেহে খুব ভালো ব্যায়াম, দারুণ কাজেরও৷ কিন্তু যাঁরা কেবল ক্রাঞ্চের ভরসায় পেটকে নির্মেদ করে তোলার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁরা ভুল করছেন ৷ আপনার কোর মাসলগুলি শক্তিশালী না হলে পেটের মেদের আবরণ পুরোপুরি সরিয়ে ফেলা অসম্ভব৷ কোর-এর মধ্যে কেবল পেট নয়, হিপ, লোয়ার ব্যাক আর গ্লুটসের পেশিও পড়ে৷ ক্রাঞ্চ কেবল পেটের পেশির উপর কাজ করে৷ তাই শুধু অজস্র ক্রাঞ্চ করলেই আপনার পেটের মেদ কমবে না৷ মেদহীন ছিপছিপে পেট ও কোমর পেতে চাইলে কোর মাসলগুলিকে শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা করুন৷