গ্রীষ্মের বিকেলে বেরতে হলে আঁটোসাঁটো পোশাক পরতে ইচ্ছে করে কি? নাকি জিন্সের শাসন মানতে মন চায়?আর সেই কারণেই ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে উজ্জ্বল প্রন্টেড সুতির শর্ট ড্রেস ও মিডি৷
এই সব পোশাক হাল্কা রঙের হলে চোখ জুড়িয়ে দেয় ৷ হালকা রং একদিকে যেমন আরামদায়ক, তেমনই এই রংগুলোর একটা summer vibes ও আছে। কালো বা ডার্ক ব্লু, বেগুনির মতো রং সূর্যের তাপ বেশি তার শোষন করে, তাই গরমের সকালে এগুলো একেবারেই চলবে না!
আমরা সাকলেই গরমে সাদা রং-এর জামাকাপড় পরতে ভালোবাসি। কিন্তু শুধু সাদা কেন, পরুন একোয়া ব্লু, সি-গ্রীন, লেমন ইয়োলো, অরেঞ্জ, বেবি পিঙ্ক, রয়াল-ব্লু, বেজ, রাস্ট রং এর পোশাক। যে-রংগুলো আপনাকে করে তুলবে সকলের থেকে একেবারে আলাদা৷ এক কথায় গ্রীষ্মের অফবিট ও আরামদায়ক অউটফিট হতে পারে এই শর্ট ড্রেসগুলি।
একটু ট্রেন্ডি হতে হলে হাতায় থাকুক রাফল্স। রাফল্ স্লিভ্স এই ইজি ব্রিজি ড্রেসের সঙ্গে মানায় ভালো৷ হাল্কা রং-এর শিফনের হল্টারনেক বা স্লিভলেস মিডি, দিনের বেলাতে দেখতে সুন্দর লাগে। রাতের সময় ব্রাইট কালার প্রিন্টেড লং ড্রেস, গর্জিয়াস লাগে।
গরমে এমন পোশাক পরুন, আপনাকে দেখেই যেন সকলে টাটকা বাতাসের পরশ পায়।তাই ফ্লোরাল প্রিন্ট, কলমকারি, চেকস, রাখুন সামার লুকের অ্যাটায়ারে।
যাদের জিন্স ছাড়া একদমই চলে না, গরমে পরুন সাদা জিন্স। জিন্সের বদলে জেগিংস অথবা কেপ্রি , নি-লেনথ এখন হালফ্যাশন। তবে এটা মনে রাখতে হবে আপনি যা পোশাক পরবেন সেটা হতে হবে কমফোর্টেবল। গরমের দিনগুলোতে ট্রাই করুন লুজফিটিং জামা । যেমন পালাজো, পাটিয়ালা, আনারকলি এই ধরনের পোশাকেও আরাম পাবেন।
এবার আসি সাজের কথায়৷যাদের লম্বা চুল, তারা প্রত্যেকেই জানেন গরমে চুল খুলে রাখার সমস্যা। ট্রেনে-বাসে যাতায়াতের সময়ে, ঘেমে-নেয়ে চুলের বারোটা বাজতে আর বাকি থাকে না! তাই, চুলটা বেঁধে রাখাই শ্রেয়। পোশাকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানিয়ে যায় টপ নট, বান, বিনুনি অথবা পনিটেল।