বর্ষার অবিরল বারিধারায় এককথায় মনে আসে বর্ষাতির কথা। পোশাকের উপর বর্ষাতি চাপিয়ে নিলেই জামাকাপড় ভেজার ভয় নেই। কিন্তু অনেক রকমের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হলে শুধুমাত্র বর্ষাতি চাপালেই চলে না। যেমন হেঁটে পথ চলার সময় বর্ষাতি চাপিয়ে নিলে সুবিধা হয় ঠিকই কিন্তু রাস্তার জমে থাকা বৃষ্টির জলে পোশাক ভিজবেই। এছাড়াও পাবলিক ট্রান্সপোর্টে উঠতে গেলেও ভিজে বর্ষাতি গায়ে ওঠা একেবারেই সম্ভব নয়। বর্ষাতি গা থেকে খুলে ফেললেই বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবেই।
বর্ষাকালে বৃষ্টি বলে কয়ে আসে না। যে-কোনও মুহূর্তে কাজের জন্যে রাস্তায় বেরিয়ে হঠাৎই বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া এবং তারপর অফিসে বসে ভিজে কাপড়েই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করা কর্মরতা মহিলা-পুরুষ উভয়ের জন্যেই বিরক্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। সুতরাং বর্ষার জন্যে উপযুক্ত পোশাক যদি বেছে নেওয়া যায় তাহলে পরিস্থিতি অনেকটাই সামলে ওঠা যায়। বর্ষার জন্যে সুতি, লিনেন ইত্যাদি ফ্যাব্রিক একেবারেই উপযুক্ত নয়। বরং এই মরশুমে বেছে নিন পলিকটন, ক্রেপ, পলিয়েস্টার, নাইলন ইত্যাদি ফ্যাব্রিকের তৈরি পোশাক।
বর্ষায় কী ধরনের পোশাক পরবেন এবং কী পরবেন না
১) জর্জেট, শিফন কাপড়ের তৈরি পোশাক অ্যাভয়েড করুন কারণ বর্ষায় ভিজে গেলে শরীরের সঙ্গে লেপটে থাকে ফলে দেখতে বিশ্রী লাগে।
২) এমন পোশাক পরা উচিত যা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়।
৩) চেহারা যদি স্থূল হয় তাহলে বডি হাগিং পোশাক একেবারেই পরা উচিত নয়।
৪) প্রয়োজনে হাঁটু অবধি পোশাক পরতে পারলে ভালো।
৫) জমকালো গাঢ় রঙের প্রিন্ট-এর পোশাক বেছে নিন।
৬) টাইট ফিটিং-এর পোশাক এড়িয়ে চলুন।
৭) বর্ষাকালে সবসময় নিজের ব্যাগে একটা আলাদা পোশাকের সেট রেখে দেওয়া উচিত যাতে প্রয়োজনে পোশাক বদলানো যেতে পারে। এই মরশুমে গোলাপি, সবুজ, নীল, অরেঞ্জ ইত্যাদি রঙের পোশাক দেখতে ভালো লাগে।
৮) ক্যাজুয়াল লুকের জন্যে কেপরি, স্কার্ট, লুজ প্রিন্টেড শার্ট এবং প্যান্ট খুব ভালো। গ্ল্যামারাস লুক পেতে হলে কাফতান, টিউনিক্স, শর্ট ড্রেস খুব সুন্দর লাগবে। এছাড়া যারা ড্রেস পরতে অভ্যস্ত নন তাদের জন্যে রয়েছে বর্ষায় পরার মানানসই শাড়ি যা ভিজে গেলেও সহজে শুকিয়ে নেওয়া যাবে। সিন্থেটিক শাড়ি এই মরশুমে পরার জন্যে ‘দ্য বেস্ট’।