আমরা বেশিটাই বাঁচি মনে-মনে। তাই মন ভালো রাখার দায়িত্বও নিতে হবে নিজেকেই। এরজন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল– গন্ধ এবং বর্ণ। অর্থাৎ,যা-কিছু দৃশ্যমান, তা দৃষ্টিনন্দন হওয়া চাই এবং চারপাশের আবহে যেন বজায় থাকে সুগন্ধ। আর উৎসবের দিন হলে তো কথাই নেই, উৎসবকে কেন্দ্র করেই ঘরের ভোল বদলে দিন।

এমন অনেকেই আছেন, যারা প্রচুর অর্থ উপার্জন করলেও, বাড়িঘরে পরিচ্ছন্ন আবহ বজায় রাখার বিষয়ে মাথা ঘামান না। গা-ঘিনঘিনে পরিবেশে থাকার অভ্যাস তৈরি হয়ে যায় তাদের। আর এর প্রভাব পড়ে তাদের শরীরে ও মনে। পেটখারাপ, শ্বাসকষ্ট, ত্বক সমস্যা এমন নানারকম অসুখে আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি, মেজাজ থাকে খিটখিটে। শুধু তাই নয়, বাড়িতে অতিথি এলে তারাও থাকেন অখুশি এবং দ্বিতীয়বার আসার আগ্রহ দেখান না।

পুরোনো খেলার সামগ্রী, অব্যবহৃৎ অপ্রয়োজনীয় ধুলোপড়া আসবাব, পুরোনো খবরের কাগজ, অর্ধশুকানো জামাকাপড়, ভেজা ছাতা, নোংরা বেডকভার, ডাস্টবিনে জমিয়ে রাখা উচ্ছিষ্ট প্রভৃতি ঘরে রাখলে দুর্গন্ধ তো বেরোবেই! বর্ষাকালে এই দুর্গন্ধ আরও দ্বিগুন হয়। তাই  যে কোনও ঋতুতেই ঘরের নিয়মিত ঝাড়পোঁছ থেকে শুরু করে, আবহ সুবাসিত রাখার সুবন্দোবস্ত করতে হবে।

কখনও আবার এমনও হয়– ঘর পরিষ্কার রাখলেও, শৌচালয় কিংবা আশপাশের এলাকা থেকে ঘরের আবহ দূষিত হয়। তখন, ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি, দুর্গন্ধমুক্ত করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে অ্যারোমা-যুক্ত মোমবাতি, ধূপ প্রভৃতি জ্বালিয়ে সুগন্ধ ছড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া, বাজারে নানারকম স্প্রে পাওয়া যায়, যা ব্যবহার করেও দুর্গন্ধের সমস্যা দূর করা যায়। তবে ওইসব কেমিক্যাল স্প্রে বেশি ব্যবহার করা ক্ষতিকারক। তাই অ্যারোমা-যুক্ত ক্যান্ডেল এবং ধূপ জ্বালানোই ভালো।

দুর্গন্ধ দূর করার উপায়

  •   ঘরের দুর্গন্ধ বাইরে যাতে বেরিয়ে যায়, তারজন্য ভেন্টিলেশন-এর ব্যবস্থা রাখা জরুরি। এগজস্ট ফ্যান ব্যবহার ছাড়াও, মাঝেমধ্যে ঘরের দরজা-জানালা খুলে রাখা প্রয়োজন
  •   সুগন্ধি ধূপ, রুম ফ্রেশনার প্রভৃতি নিয়মিত ব্যবহার করুন
  •   ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে প্রতিদিন কার্পেট পরিষ্কার করুন
  •   জামাকাপড় কাচাধোয়ার সময় ডেটল কিংবা সুদলজাতীয় তরল মিশিয়ে ধুয়ে, ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। এতে জামাকাপড় যেমন জীবাণুমুক্ত হবে, ঠিক তেমনই ঘরে রাখলে দুর্গন্ধের পরিবর্তে সুগন্ধ বেরোবে
  •   ঘরে কাঠের আসবাব থাকলে, ধুলো ঝেড়ে পরিষ্কার রাখা উচিত এবং মাঝেমধ্যে পালিশ করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন
  •   জীবাণুনাশক হার্বাল লিকুইড দিয়ে ঘরের মেঝে ক্লিন করুন
  •   আট থেকে দশ বছরের ব্যবধানে ঘর রং করুন নতুন করে

ঘরোয়া উপায়

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...