কর্মক্ষেত্রে স্ট্রেস নিয়ে সকলকে চলতে হয়। এর গভীর প্রভাব পড়ে মন এবং শরীরের উপরেও। যার ফলে সাধারণ সর্দি-কাশি-ফ্লু থেকে শুরু করে, প্রাণঘাতী অসুখ, যেমন হার্টের সমস্যা, মেটাবলিক সিনড্রোমের শিকার হওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়।

সাধারণ ভাবে অফিসে স্ট্রেসের কারণগুলি হল

.    শারীরিক অস্বস্তি বা অসুবিধা এবং অস্বচ্ছন্দ্য বোধ করা

.    একসঙ্গে অনেক রকম কাজের বোঝা বা মাল্টিটাস্কিং

.    সহকর্মী বা বস-এর সঙ্গে মতের বনিবনা না হওয়া

.    কাজের জায়গায় বিশৃঙ্খলা।

কী ভাবে কর্মক্ষেত্রে স্ট্রেস দূরে রাখবেন?

ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে দিন শুরু করুন: আগে থেকে প্ল্যানিং করে রাখুন যাতে অফিস পৌঁছোবার মুখে বাড়ি বা রাস্তায় আপনাকে স্ট্রেসে না পড়তে হয়। প্রপার প্ল্যানিং, গুড নিউট্রিশন এবং পজিটিভ অ্যাটিটিউড কর্মক্ষেত্রের স্ট্রেস অনেকটা কমাতে সাহায্য করবে।

আপনার কাছে কী চাওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে পরিষ্কার থাকুন: ওয়ার্ক প্লেসে আপনার জব রিকয়্যারমেন্ট কী, সেটা ভালো করে জেনে নিন। কম সময়ে নোটিসে কাজের ধারা বদলানো হলে, সেটা স্ট্রেসের কারণ হয়ে উঠতে পারে। সুতরাং আপনার টিম-হেড-এর সঙ্গে পরামর্শ করে জেনে নিন আপনার কাছে ঠিক কী কী চাওয়া হচ্ছে এবং কী ভাবে আপনি সেই প্রযোজন মেটাবেন। এতে স্ট্রেস অনেকটাই কমবে।

সহকর্মী এবং বসের সঙ্গে মনোমালিন্যে বা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়বেন না: কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়বেন না। পরচর্চা, ধর্ম এবং রাজনীতি নিয়ে খুব বেশি ব্যক্তিগত অভিমত ব্যক্ত করবেন না। কালারফুল অফিস হিউমার অ্যাভয়েড করুন। অন্যের সঙ্গে যাদের ব্যবহার ভালো নয়, তাদের এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে স্ট্রেস কমবে।

কাজে শৃঙ্খলা বজায় রাখুন: কাজে শৃঙ্খলা বজায় রাখলে কাজের দক্ষতা বাড়বে, ফলে কর্মক্ষেত্রে স্ট্রেস এড়াতে পারবেন।

যেখানে বসে কাজ করছেন, সেটা আরামদায়ক হওয়া বাঞ্ছনীয়: যেমন যে চেয়ার বা ডেস্ক-এ বসে কাজ করছেন, সেটা কমফর্টেবল হওয়া জরুরি। আশেপাশে চ্যাঁচামেচি হলে কাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। সুতরাং আশেপাশের পরিবেশ যাতে শান্ত রাখা যায় সেই চেষ্টা করুন।

একসঙ্গে অনেক কাজ করার চেষ্টা করবেন না: ফোনে কথা বলছেন সঙ্গে সঙ্গে ক্যালকুলেশন-ও করছেন, এতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। একবারে একটাই কাজ করুন, তাতে ভুলভ্রান্তি হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।

লাঞ্চে হেঁটে আসুন: সময় থাকলে লাঞ্চ টাইমে একটু বাইরে বেরিয়ে হাঁটাচলা করে আসুন। এতে বদ্ধভাব কেটে যাবে এবং রিল্যাক্স করার সঙ্গে সঙ্গে মুড ঠিক হয়ে যাবে।

সব কাজে পার্ফেকশন আশা করবেন না: সব কাজ পার্ফেক্টলি করতে পারলে নিজের উপর বিশ্বাস বাড়ে ঠিকই কিন্তু সবসময় কর্মক্ষেত্রে সব কাজ পার্ফেক্ট হবেই, সেটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। বিশেষ করে ফাস্ট-পেস্ড জব-এ। আপনার পক্ষে যতটা সম্ভব ভালো করে করার চেষ্টা করুন কিন্তু পার্ফেকশনিস্ট হওয়ার চেষ্টা করবেন না। এর ফলে কাজের স্ট্রেস অনেকটাই কমবে।

বাড়ি ফেরার সময় গান শুনুন: কাজের পরে মিউজিক বা গান স্ট্রেস লেভেল কমাতে সাহায্য করে।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...