অপ্রয়োজনীয় জিনিস রান্নাঘরে জমিয়ে রাখা, খাবার শেষ হলে কৌটাগুলো অযথা জমিয়ে রাখা, রান্নার সময় কিচেনের টেবিলে অসাবধানতায় তরকারির ঝোল পড়ে গেলে বা তেলের ছিটে লাগলে দ্রুত পরিষ্কার না করা, প্রতি মাসে ১-২ বার অন্তত পুরো ফ্রিজ পরিষ্কার না করা-- এই অপরিচ্ছন্নতাই নানা অসুখ বিসুখের কারণ হতে পারে৷ অপরিচ্ছন্নতাই রোগ জীবাণুর জন্ম দেয়৷রাতের বাসন পরদিন সকালের জন্য ফেলে রাখবেন না। কারণ খাবারের সন্ধানে রাতের বেলা  নানা পোকামাকড় রান্নাঘরে ঢুকবেই।  পোকামাকড় ঠেকাতে স্প্রে করলে সেটি নিজের জন্যও ক্ষতিকর। চেষ্টা করুন রাতের বাসন রাতেই মেজে রাখতে। এতে রান্নাঘর পরিষ্কার থাকবে, স্বাস্থ্যঝুঁকিও থাকবে না।

রান্নাঘরের মেঝে, সিংক, নর্দমা অবশ্যই প্রতি রাতে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। এক টুকরো কর্পূর রেখে দিতে পারেন সিংকে বা নর্দমার মুখে। এতে পোকার আক্রমণ কমবে।রান্না ও খাওয়া শেষে রান্নাঘরটা ভালো করে পরিষ্কার না করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে যায়। অপরিচ্ছন্ন রান্নাঘর থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে জীবাণু। তাই নিয়মিত রান্নাঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আবশ্যক।

বাসনপত্রের পরিচ্ছন্নতা

সুবিন্যস্ত ভাবে বাসন রাখা যাবে এমন শেল্ফ তৈরি করুন অথবা কিনে এনে বসান রান্নাঘরে। এক্ষেত্রে কাঠের শেল্ফ ব্যবহার করলে আগুন লাগার ভয় থাকে। তাই স্টিল-এর শেল্ফ ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। কী ভাবে যত্ন নেবেন বাসনপত্রের, তা জেনে নিন এই পরিসরে।

  • পেটের অসুখ থেকে বাঁচার জন্য অর্থাৎ জীবাণুর সংক্রমণ আটকানোর জন্য ভালো মানের স্টিলের ও কাচের বাসনপত্র ব্যবহার করুন এবং ভালো মানের লিকু্ইড বাসন মাজার সাবান দিয়ে বাসনপত্র ধোয়ার ব্যবস্থা করুন
  • সিংক-এ এঁটো বাসন জমিয়ে রাখবেন না। এতে পোকামাকড় জন্মাতে পারে। বেড়ে যেতে পারে আরশোলা এবং আরশোলা বাড়লে টিকটিকির উপদ্রবও বাড়বে
  • ছুরি, বঁটি, মিক্সার, জুসার প্রভতি জিনিসপত্র ব্যবহারের পর ভালো ভাবে ধোয়া হচ্ছে কিনা দেখে নেবেন অবশ্যই। কারণ, সামান্য খাদ্যকণা থেকে গেলেও জীবাণু গ্রাস করতে পারে
  • লোহার কড়াইতে রান্না ভালো হলেও, কড়াই এবং রান্নায় ব্যবহৃত অন্যান্য সামগ্রীও আজকাল ননস্টিক বেছে নেওয়ার চলন বেশি। কারণ, এতে পরিষ্কার করতে অসুবিধে হয় না এবং সামান্য অমনোযোগী হলেও রান্না পুড়ে যাওয়া কিংবা ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটে না। আর পুড়ে যাওয়া খাবার যেহেতু খেতে অসুবিধে হয় এবং স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক- তাই ননস্টিক-ই দ্য বেস্ট। কিন্তু যে-সব মহিলারা এখনও মা হতে চান, তারা রান্নায় ননস্টিক বাসন ব্যবহার কমান। কারণ, সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে ননস্টিক বাসনে ব্যবহৃত টেফলন থেকে
  • রুটি কিংবা লুচি বেলার জন্য অনেকে কিচেন টেবিল-এর স্ল্যাব ব্যবহার করেন সরাসরি কিন্তু এটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এর জন্য ধোয়া ব্যালন-চাকি ব্যবহার করুন অথবা লিকু্ইড সোপ এবং জল দিযে ভালো ভাবে স্ল্যাব পরিষ্কার করে, পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিয়ে রুটি কিংবা লুচি বেলুন। সবজি কিংবা অন্যান্য সামগ্রীর কাটিং-বোর্ডও ব্যবহার করার আগে একই ভাবে পরিষ্কার করে নিন
  • টেবিল টপ পরিষ্কার রাখতে, হাতের কাছে সব সময় কিচেন টাওয়েল রাখুন। এই টাওয়েল অবশ্যই রোজ পরিষ্কার করতে হবে। চপিং বোর্ড এবং ছুরিও রোজ পরিষ্কার করা উচিত।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...