লকডাউন-এর সাইড এফেক্টস, অযাচিত কিছু মেদ জমেছে শরীরে। এদিকে সংক্রমণের ভয়ে জিম- এ যেতেও সাহস করতে পারছেন না অনেকে। তাই বাড়িতেই শুরু করেছেন ওয়ার্কআউট। কিন্তু সমস্যা হল ব্যায়াম সংক্রান্ত অনেক নিয়মকানুনই আমাদের জানা নেই। তাই মনে উঠছে নানা প্রশ্ন। তারই মধ্যে একটা হল ব্যায়ামের আগে কি কিছু খাওয়া উচিত? খেলে কোন ধরনের খাবার আদর্শ ?
এ নিয়ে অবশ্য নানা মতভেদ আছে। ব্রিটেনের বাথ ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা বলছে, খালি পেটে যাঁরা ব্যায়াম করেন, তাঁদের অ্যাডিপোস বা ফ্যাট টিশুতে লক্ষণীয় পরিবর্তন চোখে পড়ে। ধরুন, আপনার অভ্যেস হচ্ছে ভরপেট ব্রেকফাস্ট বা সান্ধ্যকালীন জলযোগ সারার ঘণ্টা দুই পর, শরীরচর্চা করার। সেক্ষেত্রে কিন্তু খাবারটাকে ভাঙতে ও শরীরের কাজে লাগাতেই অ্যাডিপোস টিশু অনেক বেশি ব্যস্ত থাকবে। ব্যায়ামের ফলে আলাদা করে তা কার্যকর হয়ে উঠবে না। এইভাবে চলতে থাকলে ক্রমশ ব্যায়ামের প্রতিক্রিয়ায় আপনার অ্যাডিপোস টিশুর কার্যকারিতা সঠিক ভাবে টের পাওয়া যাবে না।
তাৎক্ষণিক তেমন অসুবিধে না হলেও দীর্ঘ সময় ধরে যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু সুফল পাওয়াটা ক্রমশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের পরামর্শ হল, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে খালি পেটে ব্যায়াম করা অভ্যেস করুন।
অনেকেই আছেন যাঁরা আবার একেবারে না খেয়ে ব্যায়াম করতে গেলে এনার্জি পান না। তাঁরা প্রয়োজনে, একটি পাকা কলা বা আপেল খেয়ে এক্সারসাইজ় করুন। ফলের ফাইবার পেট ভরিয়ে রাখবে, এনার্জিও জোগাবে। হাতের কাছে অবশ্যই জল রাখুন, ব্যায়াম করতে করতে মাঝে-মধ্যে এক-আধ চুমুক জল খাওয়া কিন্তু ক্ষতিকারক নয়।
ব্যায়াম বা হাঁটার পর যা খেতে পারেন
১. ওটস, সাথে স্কিমড / নন ফ্যাট দুধ
২. কর্নফ্লেক্স, ফলের রস অথবা স্যুপ
৩.স্যালাড ( বেকড মুরগি বা মাছ, আ্যভোকাডো, ক্যাপসিকাম, বাদাম, দই দিয়ে মেখে নেওয়া)
৪.প্যান কেক ( ময়দা বা আটা, ডিমের সাদা অংশ দিয়ে বানানো ) সঙ্গে ফল বা দুধ
৫. ব্রেড বা রুটির মধ্যে মুরগির কিমা, সবজি সিদ্ধ করে, একটু চিজ একটা ডিমের সাদা অংশ ঝুরি করে নিয়ে একটু গোল মরিচের গুঁড়ো দিয়ে রোল