একটি অতিমারি আমাদের জীবনের চালচিত্রটাই বদলে দিয়েছে। শুধু অসুস্থতার করাল গ্রাসই নয় বহু মানুষকে চিরকালের মতো হারিয়ে ফেলেছি আমরা, হারিয়েছি জীবনের নানা অমূল্য মুহূর্ত যার অভিব্যক্তি হয়তো দুটো মানুষের আলিঙ্গনে উদ্যাপিত হতে পারত। আবারও দেখা দিতে পারে ভাইরাসের চোখরাঙানি এই অনিশ্চয়তা দিয়ে শুরু হছ্ছে ২০২৩ কিন্তু তাই বলে সব স্বপ্ন, সমস্ত আশা কি চিরতরে শেষ হয়ে যাবে?

না, প্রতিকূলতার মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানোই মানুষের ধর্ম। নতুন বছর, নতুন সময়, নতুন চিন্তধারা, নতুন কমিন্টমেন্ট। তাই সবই যখন নতুন, আমাদের নতুন করে সব ভাবতে হবে একটা নতুন শুরুয়াতের জন্য।New year wishes আর স্বপ্নকে আপনাকেই বাস্তবায়িত করতে হবে৷

আগের বছরটা ভালো-মন্দ যেমনই কেটে থাকুক না কেন, মনে মনে আনকোরা বছরটার জন্য ডুজ অ্যান্ড ডোন্টস-এর তালিকা তৈরি করে নিন। পুরোনো বছর থেকে যা কিছু শিখেছেন, সেই অভিজ্ঞতাকেই নতুন বছরে পাথেয় করুন। গত বছর যে-ভুলগুলো করেছেন এবং তার জন্য মাশুল দিয়েছেন, তাকে পুরোনো বছরের গণ্ডিতেই রেখে দেওয়া ভালো।

কী করবেন তার চেক-লিস্ট

New year resolutions করতে হলে, প্রথমেই নেতিবাচক ভাবনাগুলো থেকে বেরিয়ে আসুন। আগামী দিনগুলিতে কী করবেন তার একটা তালিকা তৈরি করুন। কোভিড আমাদের শিখিয়ে দিয়েছে, জীবনের আসলে কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই চেষ্টা করুন এক এক করে নিজের উইশ লিস্ট পূরণ করতে। যা কখনও করবেন বলে ভেবেছেন কিন্তু করা হয়ে ওঠেনি এবার সেই তালিকা তৈরি করুন। এক এক করে ইচ্ছাগুলো পূরণ করুন আর টিক দিন। এই ১০-টি কাজ করতে পারেন প্রাথমিক ভাবে।

হয়তো ভেবেছিলেন লেখিকা হবেন, কলেজে থাকতে ওয়াল ম্যাগাজিন আর লিটল ম্যাগাজিন করতেন। সংসারের চাপে সে সব চুকেবুকে গেছে। কুছ পরোয়া নেই। বহু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম তথা পত্রিকা আছে। লেখা পাঠান। লেখায় নিজের নাম দেখে আপনি নতুন করে বাঁচার উৎসাহ পাবেন।

  • স্পোকেন ইংলিশ-টা শিখব শিখব করে আর শেখাই হয়নি? মেয়ের মুখে খই ফুটছে দেখে আপনি হীন্মন্যতায় ভুগছেন? চিন্তা কী? অনলাইনে ভর্তি হয়ে যান ইংরেজি শেখার ক্লাসে।
  • ফোটোগ্রাফির শখ অথচ সাহস করে ছবি তুলতে পারেননি? বাড়ির কাছেই কোনও সংস্থা থাকলে ভর্তি হয়ে যান। ক্যামেরা কাঁধে বেরিয়ে পড়ুন হাতে-কলমে শেখার জন্য।
  • গানের গলাটা একসময় মন্দ ছিল না। অথচ হারমোনিয়ামে এখন ধুলো পড়ছে? আবার শুরু করুন। স্টারমেকার-এর মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বা ইউটিউবে গান ফ্লোট করুন নিজের। আপনার মতো অনেকেই সেখানে শিল্পী হিসেবে নিজের প্রতিভা তুলে ধরছেন।
  • সেলাই আর হাতের কাজে আপনি দক্ষ? তাহলে নিজের বুটিক-টা এবার খুলেই ফেলুন। না না, কোনও দোকান বা শোরুম-এর দরকার নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজে অর্ডার নিন আর কুরিয়ারে ডেলিভারি করুন।
  • অন্তেপ্রেনিয়োর হওয়ার ইচ্ছে ছিল, সে আশা পূরণ হয়নি? চিন্তা কী! বাড়িতেই শুরু করুন বেকিং ক্লাস বা জ্যাম-জেলি-আচার তৈরির ছোটো উদ্যোগ। কয়েক মাসের মধ্যেই চেনা সার্কেল ছাপিয়ে আপনার নাম আরও অনেকেই জেনে যাবে।
  • বেড়ানোর শখ অথচ সাহস করে সোলো ট্রিপ-এ যাওয়া হয়নি? আজকাল অনেকেই কিন্তু যাচ্ছে সোলো ট্রিপ-এ। একান্ত সাহস না পেলে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই কোনও ফিমেল গ্রুপের সঙ্গে বেরিয়ে পড়ুন।
  • বাগান করার শখ অথচ এবার এর মাধ্যমে আয় করতে চান? অবশ্যই সম্ভব। চারাগাছ বিক্রি শুরু করুন সুন্দর টবে করে। বাড়ি থেকেই দিব্যি এই ব্যাবসা চালাতে পারেন।
  • আপনার রান্নার সুখ্যাতি করে আত্মীয়-বন্ধুরা? ছোটো ছোটো অর্ডার নেওয়া শুরু করুন। কিছুদিনের মধ্যেই আপনি হোম ডেলিভারি খুলে ফেলতে পারবেন। আর্থিক স্বাবলম্বিতা আপনাকে অন্যরকম জোর দেবে।
  • আর্তের সেবায় নিজেকে নিয়োগ করতে চান? দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে শুরু করুন সোশ্যাল ওয়ার্ক। বহু অনাথ আশ্রম বা বৃদ্ধাশ্রম আছে, সেখানে কেয়ার গিভার হিসাবে যুক্ত হোন। পরার্থে জীবনের মূল্যবান সময় ব্যয় করার মতো আনন্দ আর কিছুতে নেই।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...