সরকার থেকেই এখন ভ্যাসেক্টমি করাবার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়। ভারতবর্ষে পুরুষদের ভ্যাসেক্টমি করানো নিয়ে অনেকেই নানা ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করেন।
আমার বয়স ২৯ বছর। আমি দু সন্তানের মা। আমরা আর সন্তান চাই না। এর জন্য আমার স্বামী ভ্যাসেক্টমি করাতে চান। আমি জানতে চাই, এর জন্য আমাদের বিবাহিত জীবনে কি কোনও প্রভাব পড়বে?
সরকার থেকেই এখন ভ্যাসেক্টমি করাবার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। আপনার স্বামী নিজে থেকেই এটা করাতে চান, সুতরাং এটা খুবই ভালো। ভারতবর্ষে পুরুষদের ভ্যাসেক্টমি করানো নিয়ে অনেকেই নানা ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করেন। খুব কম পুরুষরাই এর জন্য এগিয়ে আসেন।
পুরুষদের ভ্যাসেক্টমি করানো হয় পরিবার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে। এই প্রক্রিয়ায় সার্জারির মাধ্যমে পুরুষদের বন্ধ্যাত্বকরণ করা হয়ে থাকে। এর দ্বারা পুরুষদের শুক্রাণুবাহক টিউব বন্ধ করে দেওয়া হয় যাতে স্পার্ম পুরুষাঙ্গ পর্যন্ত পৌঁছোতে না পারে। কিন্তু তার জন্য বীর্যস্খলন বা যৌনসঙ্গমে কোনও ভাবেই প্রভাব পড়ে না। এটি খুবই সহজ এবং কম খরচে করা যায় এমন একটি সার্জারি।
সার্জারির দুই সপ্তাহ পরে থেকেই স্বাভাবিক কাজকর্ম এবং জীবনযাপন করা সম্ভবপর। এছাড়াও অস্ত্রপচারের পর আপনার বীর্যে শুক্রাণু আছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য আপনার চিকিৎসক চেকআপের জন্য আবার আসতে বলতে পারেন। জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য এটি একটি ভালো বিকল্প। সরকারি হাসপাতালে ফ্রি-তে এই সার্জারি করানো হয়। মনে কোনও রকম ভয় না রেখে স্বামীকে সহযোগিতা করুন।
ভ্যাসেক্টমি সার্জারির পর কী কী সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত?
এই সার্জারি হয়ে যাওয়ার পর কমপক্ষে ১ সপ্তাহের জন্য কঠোর শারীরিক পরিশ্রম এড়ানো উচিত ।
ব্যথা আর ফোলাভাব কমাতে আইসপ্যাক ব্যবহার করুন।
ব্যক্তিকে ৩ দিনের জন্য scrotal সমর্থন থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ব্যথা উপশমের জন্য ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন।