আমি ২৬ বছর বয়সি তরুণী। পেশা সাংবাদিকতা। নিউজ স্টোরির জন্য মাঝেমধ্যে আমাকে ট্রাভেল করতে হয় বিভিন্ন জায়গায়। আমার সঙ্গে থাকে একজন স্টাফ ফোটোগ্রাফার। দীর্ঘদিন ওই ফোটোগ্রাফার-এর সঙ্গে কাজের সূত্রে জার্নি করতে করতে আমি ওর প্রেমে পড়ে যাই। আমাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। একসময় বুঝতে পারি, আমি প্রেগন্যান্ট এবং আগত সন্তানের বাবা আমার স্বামী নন, আমার প্রেমিক। আমার বিবাহিত জীবন চার বছরের। সন্তান চেয়েছি, তাই কন্ট্রাসেপ্টিভস ব্যবহার না করেই স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমার স্বামীর দ্বারা আমি মা হতে পারিনি। এখনও আমার স্বামীকে জানাতে পারিনি যে আমি কন্সিভ করেছি। কিন্তু আমি তাকে জানাতে চাই। হয়তো একথা শুনলে তিনি খুশিও হবেন। তবে আমার প্রেমিক চান আমি অ্যাবরশন করিয়ে নিই কিন্তু আমি মা হতে চাই, সন্তানের পিতা যে-ই হোক। জানি না আমি ঠিক পথে এগোচ্ছি কিনা? আমি পরামর্শ চাই।
স্বামী এবং প্রেমিকের সঙ্গে যেহেতু সমান ভাবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন আপনি, তাই গর্ভস্থ শিশুর পিতা যে আপনার প্রেমিক, এ বিষয়ে একশো ভাগ নিশ্চিত হওয়া যায় না। আপনার উচিত, পেটারনিটি টেস্ট করা। কারণ, চার বছরে আপনার স্বামীর দ্বারা আপনি মা হতে না পারলেও, তারই ঔরসে মা না হওয়াও অসম্ভব নয়। কারণ, তার পৗরুষত্ব আছে কিনা সেরকম কোনও পরীক্ষা করানো হয়নি। তাই আপনার গর্ভস্থ সন্তানের বাবা কে তা পরীক্ষা করা উচিত। আর এই পরীক্ষা আপনার স্বামীকে না জানিয়েও করা সম্ভব। যদি দেখা যায় আপনার গর্ভস্থ শিশুর পিতা আপনার স্বামী, তাহলে তো কোনও সমস্যা থাকবে না, আপনি নিশ্চিন্তে মা হতে পারবেন। আর যদি তা না হয়, তাহলে আপনাকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি স্বামীর সঙ্গে থাকতেই হয়, তাহলে আপনাকে অ্যাবরশন করাতে হবে এবং আপনার প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন করতে হবে। আর যদি প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে মা হতে চান, তাহলে স্বামীকে সবকিছু বলে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বিবাহ-বিচ্ছেদ করা উচিত। নয়তো, ভবিষ্যতে আপনার দাম্পত্যজীবন অসুখী হতে পারে যখন আপনার স্বামী সত্যিটা জানতে পারবেন। কারণ, এত বড়ো সত্যি চাপা থাকে না সধারণত। তাছাড়া, আপনার স্বামীকে সবকিছু জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে সারাজীবন আপনাকে ব্ল্যাকমেল করতে পারে আপনার প্রেমিক। আপনি একজন শিক্ষিতা, মহান পেশার সঙ্গে যুক্ত, তাই অবিবেচক হবেন না আশাকরি। অতএব সিদ্ধান্ত নিন বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে।