অনেক সময় স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীয়ের বয়সের বেশি ফারাক থাকলে, স্বামীরা স্ত্রীয়ের মতামতকে তেমন গুরুত্ব দিতে চান না। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে হবে নিজের ব্যক্তিত্বের জোরে। কিছু বিষয়ে আপনাকেও হয়ে উঠতে হবে দায়িত্বশীল, যাতে স্বামী আপনার উপর আস্থা ও নির্ভরতা তৈরি করতে পারেন।জেনে নিন কীভাবে আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন Dependable wife৷ রইল কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ Secrets of married life৷
ছোটো-বড়ো সমস্ত সিদ্ধান্তই সঙ্গীর সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত। আপনি আপনার সমস্যা যেভাবে শেয়ার করেন স্বামীর সাথে, সেভাবে তাঁর সমস্যার কথাও শুনুন। এতে ক্রমশ স্বামীর আপনার প্রতি নির্ভরশীলতাজন্মাবে।
অনেক সময় স্বামীরা মনেকরেন স্ত্রী সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে উপযুক্ত নয়। তাই কিছু সিদ্ধান্ত নিজে থেকে নিয়ে ওঁর আস্থা অর্জন করুন। প্রথববার বা দ্বিতীয়বার আপনার সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হতে পারে, কিন্তু হতাশ হবেন না, এর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে এগিয়ে চলুন। অন্য দিকে ছোটোখাটো কথার জন্য স্বামীর ওপর নির্ভরতাও সঠিক নয়। এর ফলে স্বামীর অভ্যাস নষ্ট হতে পারে বা স্বামী আপনাকে দুর্বল ভাবতে পারেন।
স্বামীর স্বভাবে অহংকার লক্ষ্য করলে ক্ষুব্ধ হবেন না।রাগের মাথা. তাঁর বলা কথাগুলো ধরে বসে থাকবেন না। এর ফলে বাড়ির পরিবেশ নষ্ট হবে, সম্পর্ক দুর্বল হবে। তাই নিজের রাগও নিয়ন্ত্রণে রাখুন এবং স্বামীর স্বভাব বোঝার চেষ্টা করুন।
অধিকাংশ সময় নিজের স্বামীর স্বভাবে পরিবর্তন লক্ষ্য করা সত্ত্বেও তাঁদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন না। এটি ঠিক নয়। বরং স্বামীর সঙ্গে তাঁর পরিবর্তিত স্বভাব সম্পর্কে মন খুলে আলোচনা করুন।কী তাঁর চিন্তার কারণ তা অনুসন্ধান করুন। স্ত্রী যদি তাঁর সঙ্গে মন খুলে কথা বলে, তা হলে দুজনে মিলে অনেক সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারবেন।
স্ত্রীর মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকলে পারিবারিক সমস্যায় স্বামী নিজেকে একা অনুভব করেন।তাই স্ত্রী যদি কথায় কথায় স্বামীর ওপর নির্ভরশীল হয়ে না পড়েন বা তাঁকে বুঝিয়ে দেন যে, তিনি একাই সমাধান করতে পারবেন, তা হলে স্বামীরও সঙ্গীর উপর ভরসা জন্মাবে। তাই স্ত্রীরা প্রথমে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে শিখুন। সমস্ত বিষয় নিজের মতামত ও ইচ্ছা-অনিচ্ছা জানান। এ ভাবে ধীরে ধীরে আপনার স্বামী আপনার পরামর্শ গ্রহণে ও সিদ্ধান্ত মেনে নিতে অভ্যস্ত হবে।