বৈবাহিক সম্পর্কে দু’জন মানুষ একে অপরের সঙ্গে থাকতে চায়। তাই তাদের মধ্যে মানসিক মিলটা খুব জরুরি হয়ে পড়ে। সেই একাত্মতায় যখন অপছন্দের কিছু আসে তখনই সমস্যা দেখা দেয়। আর তা ভেঙে যায়। তাই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য এমন মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা উচিত যার সঙ্গে মনের মিল আছে। যার সঙ্গে পছন্দ-অপছন্দগুলো মেলে। বিয়ের আগে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন। জেনে নিন secrets of happy marriage।
সঙ্গীকে অতিরিক্ত বদলানোর চেষ্টা করবেন না
আপনি ঠিক যেমনটা চান, আপনার সঙ্গীর প্রকৃতি হুবহু সেটা না-ও হতে পারে।তাই বলে তাকে আপনার মতো ধাঁচে গড়ে তুলতে চেষ্টা করবেন না। মনে রাখুন, প্রতিটি মানুষ প্রকৃতিগত ভাবে স্বতন্ত্র।কোনএ কিছু আপনার চোখে খুব বিশদৃস লাগলে, তার সাথে ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা করুন।বুঝিয়ে বললে সে নিজেকে ঠিকই শুধরোবে। এছাড়া সে যেমন আছে, তেমনই তাকে প্রশংসা করুন। সঙ্গী যদি পাল্টাতে না চায় তাহলে জোর করতে যাবেন না। সেটা হতে পারে পোশাক কিংবা আচরন। কারণ, এটির ফলাফল কখনোই শুভ হবে না আপনার সুন্দর সম্পর্কটির পক্ষে।
একে অন্যকে সমর্থন করুন
আপাত দৃষ্টিতে আপনার চোখে না পড়লেও বাস্তবে আরও অনেকের মতনই সম্পর্কের কিছু খুঁটিনাটি বিষয়কে হয়তো আপনিও এড়িয়ে যাচ্ছেন। ব্যাপারগুলো ঠিক চোখে পড়ার মতন না হলেও, এই একেককটি ছোট্ট ছোট্ট ঘটনাই আপনার সম্পর্ককে করে তুলতে পারে সজীব আর প্রাণবন্ত।তাই ছোটো ছোটো সাফল্যতেও পরস্পরকে প্রশংসা করুন, সমর্থন করুন।
নিজেরও মূল্য বুঝুন
পৃথিবীর আর সবার চাইতে আপনি আপনার সঙ্গীর কাছে আলাদা কেন? কারণ এই যে, সে বিশ্বাস করে যে সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে পৃথিবী অন্যদিকে চলে গেলেও আপনি তাকে ছেড়ে যাবেন না। তার পাশে থাকবেন। তাকে বোঝার চেষ্টা করবেন। আর এই বিশ্বাসটুকুই আপনাকে আপনার সঙ্গীর চোখে আলাদা করে তোলে। করে তোলে অনন্য। তাই সেই বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়ে সঙ্গীর পাশে থাকুন সবসময়।
মনে রাখবেন marriage and bonding একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একে অপরকে বোঝান- আপনারা একসঙ্গে থাকবেন বলেই একই পথে চলছেন, তাই নিজেদের সব সমস্যাগুলোকে নিজেদেরই সামলে উঠতে হবে।
স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নয়
জীবনে প্রেম-ভালোবাসা থাকবেই। ভালোবাসার সম্পর্ক নারী-পুরুষকে অনেক বেশি চাঙ্গা করে রাখে। বলা হয়, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ভালোবাসার চেয়ে ভালো উপাদান আর নেই। কিন্তু শুধুমাত্র ভালোবাসা দিয়ে কোনো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যায় না।
নারী-পুরুষ উভয়েরই স্বাধীনতাবোধ রয়েছে। স্বাধীন চিন্তা ও নিজের একটি স্বতন্ত্র জগত রয়েছে প্রতিটি মানুষেরই। ভালোবাসার সম্পর্ক এমনই হওয়া উচিত যা পরস্পরের স্বাধীনতা, মূল্যবোধ ও সম্মানের স্থানগুলোকে অক্ষত ও সুরক্ষিত রাখবে।