‘আমিই সেই মেয়েটি–

আমিই সেই মেয়ে যার জন্মের

সময় কোনও শাঁখ বাজেনি

জন্ম থেকেই যে জ্যোতিষীর ছকে বন্দি।

যার লগ্ন রাশি রাহু কেতুর দিশা খোঁজা হয়েছে

না– তার নিজের জন্য নয়...’

যতবার শুনেছি শব্দগুলো বারবার মনে হয়েছে যে বংশপ্রদীপ বা কূলতিলক, এই আখ্যা শুধু ছেলেদের জন্যই বরাদ্দ থাকে কেন? শুধুমাত্র সন্তান উৎপাদনের দ্বারা বংশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াতেই কি সন্তানের যাবতীয় সার্থকতা? কিন্তু তার বাইরেও তো অনেক কিছু থাকে নাড়ির বন্ধনে। ভক্তি, ভালোবাসা, দায়িত্ব, কর্তব্য– যা দিয়ে অটুট থাকে সম্পর্কের টান। মেয়েরা অর্থাৎ কন্যা সন্তানরা কি বাবা-মাকে এর কোনওটা দিতে অপারগ?

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবার ছোটো হয়েছে। বেশিরভাগ বাড়িতেই একটি বা দুটি সন্তান। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার একটি বা দুটিই কন্যা। সময়ে তাদের পাত্রস্থ করে কর্তব্য পালন করেন পিতা-মাতা। ‘কন্যা-দায় শব্দটা বড়ো করুণ ভাবে বাজে প্রত্যেকটি মেয়ের বুকে কিন্তু প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রেখে তাকে গাঁটছড়া বাঁধতে হয় অন্য একটি পুরুষের সঙ্গে, বাবা-মাকে কর্তব্য বা দায় থেকে মুক্তি দিয়ে।

তাই বলে একটা মেয়ের তার মা-বাবার প্রতি দায়িত্ব বা কর্তব্য সেখানেই ফুরিয়ে যায় না। এটা মেয়েরাও যেমন উপলব্ধি করেছে, তেমনই একক কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়া দম্পতিরাও। পুরোনো ধারণা বদলে তারাও বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন যে, বিয়ে হয়ে অন্য পরিবারে চলে যাওয়ার পরও মেয়েরা তাদের মা-বাবার দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে না, বিপদে আপদে পাশে দাঁড়ায়। ততটাই নির্ভর করা যায় সন্ততির উপর, যতটা তারা তাদের পুত্রের উপর নির্ভর করতে পারতেন।

এই রৌদ্রোজ্জ্বল ছবিটার অন্যপিঠেই কিন্তু মেঘলা দিনের বিষণ্ণতা। প্রদীপের নীচেই অন্ধকার। এখনও বেশিরভাগ পরিবারেই মেয়ে জন্মালে তাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানানো হয় না। নাগরিক জীবনের বাইরে মেয়ে হওয়ার আনন্দে কেউ মিষ্টিমুখ করায় না, তার জন্মদিন পালনেও কেউ তেমন উৎসাহী নয়। শুরু থেকেই ধরে নেওয়া হয় মেয়ে জন্মেছেই পরের ঘরে যাবে বলে, সে গলগ্রহ বই তো নয়। অথচ একসময় ‘মেঘে ঢাকা তারা’র নীতারা, ‘অন্য না’ ছবির অনন্যার মতো নিজের সব সুখ বিসর্জন দিয়ে কাঁধে তুলে নেয় মা-বাবার সংসারের দায়ভার।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...