সন্তানের জন্মের পর থেকে অভিভাবকত্ব চালিয়ে যেতে হয় আজীবন। মনে রাখবেন, ভুল অভিভাবকত্ব সন্তানকে মানসিক বিকারগ্রস্ত করে তুলতে পারে, এমনকী সন্তানের জীবনহানিও ঘটতে পারে। তাই অভিভাবকত্বের বিষয়টি ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। ভালোবাসা এবং শাসনের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে কীভাবে ভালো অভিভাবক হয়ে উঠবেন, সেই বিষয়ে তুলে ধরা হচ্ছে মনোবিদদের পরামর্শ।

ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট অপরূপা ওঝা- বক্তব্য এবং পরামর্শ:

O ভারতীয় অভিভাবকরা শিশুদের শুধু শাসন করে অভিভাবকত্ব ফলান। কিন্তু যদি অভিভাবকরা শিশুদের সঠিক আচরণের জন্য পুরস্কৃতও করেন, তাহলে এতে সুফল পাওয়া যাবে।

O সন্তানের কাছ থেকে অযৌক্তিক প্রত্যাশা থাকলে, সন্তান ভারাক্রান্ত হয়ে উঠার সম্ভাবনা থাকে। যেমন— এক্ষেত্রে আপনার সন্তান আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলতে পারে এবং মানসিক চাপের মধ্যে পড়তে পারে, যা তার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সন্তানকে স্বাধীনতা দিন, তার যা ভালো লাগে তা করতে দিন। এক্ষেত্রে দেখে নেবেন সে যেন ভুল পথে পা না রাখে।

O অনেক অভিভাবক শিশুর আবেগকে অবহেলা করেন। যেমন— ছেলেদের কাঁদতে নেই' ধরনের যুক্তি দিয়ে থাকেন। কিন্তু যখন অভিভাবকরা সন্তানের আবেগের যত্ন নেন না, তখন তারা প্রায়শই নিজেকে অবাঞ্ছিত এবং অযোগ্য মনে করে। এছাড়াও তারা অভিভাবকদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে পারে না। এর ফলে সে ধীরে ধীরে খুব একা এবং অসহায় মনে করে নিজেকে। অতএব, সন্তানের সুখ-দুঃখের কথা শুনুন মন দিয়ে এবং বন্ধুর মতো তাকে সুপরামর্শ দিন।

O কিছু অভিভাবক শুধু সন্তানের ভুলগুলি তুলে ধরেন কিন্তু তার বুদ্ধি এবং প্রতিভার প্রশংসা করেন না। এটি শিশুর আত্মসম্মানের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং তারা নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা গড়ে তুলতে পারে। ফলে বিষয়টি মানসিক অসুস্থতার অন্যতম কারণ হতে পারে। তাই খোলা মনে সন্তানের প্রশংসা করুন ভালো কিছু করলে। এতে আপনার সন্তান উৎসাহিত হবে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...