পুনেতে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রেনুকা খন্না নামের এক মহিলা যে- ঘটনা ঘটিয়েছেন, সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার দিকে আঙুল উঁচিয়ে শুধু দোষারোপ করা উচিত, নাকি ইউনিক ঘটনার ট্রেন্ড স্টোর আখ্যা দেওয়া উচিত— তা বোঝা যাচ্ছে না! আসলে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছে পুনের এক শহর এলাকায়। বিল্ডার স্বামী নিখিল খন্না-র সঙ্গে বচসার জেরে স্বামীর নাকে ঘুসি মারেন রেনুকা। এর ফলে শুধু নাকের হাড় ভেঙে যাওয়াই নয়, দীর্ঘ সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়ার কারণে স্ত্রীর হাতে মার খাওয়া ওই ব্যক্তির মৃত্যুও হয়।
রেনুকাকে দোষারোপ এই কারণে করা যেতে পারে যে, তিনি এমন জোরে ঘুসি মেরেছিলেন যে, তার মারের চোটে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। আর ইউনিক ঘটনার ট্রেন্ড স্টোর এই কারণে বলা যেতে পারে যে, মহিলারাও এখন এক ঘুসিতে স্বামীকে মেরে ফেলতে পারেন! তাই এক্ষেত্রে প্রমাণিত যে, ঘুস না খাওয়া সরকারি কর্মচারীর যেমন সংখ্যা কম, ঠিক তেমনই মুখ বুজে মার খাওয়া মহিলাদের সংখ্যাও কমছে। এখন এটাও বোঝা যাচ্ছে না যে, রেনুকা শুধু হাতে ঘুসি মেরে নিখিলের নাক ফাটিয়েছিলেন নাকি ভারী কোনও বস্তু ব্যবহার করেছিলেন! আর যদি সত্যিই শুধু রেনুকার হাতের ঘুসিতেই নিখিলের মৃত্যু হয়ে থাকে, তাহলে পুরুষ সমাজের কাছে এটা বড়ো বার্তা যে, নারীকে আর অসহায় কিংবা কমজোর ভাবা উচিত নয়।
মনে রাখতে হবে, সেই রামায়ণের রামও এখন নেই, আবার সীতাও নেই। অতএব, সাধু সাবধান! কারণ, নারী এখন আর অবহেলার পাত্রী নয় কিংবা মুখ বুজে হিংসার বলি হওয়ার জন্যও নয়। নারী এখন শারীরিক কিংবা মানসিক ভাবে সক্ষম। কারণ আজ তারা শিক্ষিতা, আর্থিক ভাবে সাবলম্বী এবং লড়াই করে বাঁচতে জানে। অনেক ক্ষেত্রে পুরুষদের চেয়েও ক্ষমতাশালী হয়ে উঠেছে মেয়েরা।