আপনি কি পার্টনারের ব্যক্তিগত স্পেসে খুব বেশি ঢুকে পড়ছেন? তাতে অসন্তোষ বাড়ছে সম্পর্কে? ভেবে দেখুন আপনার সঙ্গীকে নিয়ে আপনি বেশি পজেসিভ নন তো? নিজের কাজের থেকে কি স্বামী বা স্ত্রীকে নিয়েই বেশি চিন্তাভাবনা করছেন আপনি? মনে রাখবেন ভালোবাসার প্রকাশ পাওয়ার বদলে, এই পজেসিভনেস কিন্তু হতে পারে মানসিক অসুস্থতারও কারণ৷

প্রেম কিংবা দাম্পত্য, যে-কোনও সম্পর্কই দাঁড়িয়ে থাকে ভালোবাসা ও পারস্পারিক শ্রদ্ধার উপর৷ পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস থাকাও খুবই জরুরি। এসব অনুভূতির উপর ভর করেই এগিয়ে যাওয়া যায় জীবনের অনেকটা পথ।কিন্তু সমস্যা হল, অনেকেই ভালোবাসার অর্থ হিসেবে দখলদারি বোঝেন। তারা একে অপরের একান্ত ব্যক্তিগত স্পেস ও সময়টুকুরও ভাগ নিতে চান। তখনই বাড়ে দ্বন্দ্ব।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্পর্কে থাকতে গেলে একে অপরকে জেনে নিতেই হবে। তবে জানার অজুহাতে সব ব্যাপারে নাক গলানো একেবারেই ঠিক হবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যক্তিগত বা পার্সোনাল স্পেসের বিষয়টাই অনেকে বুঝতে পারেন না। অনেকেই বুঝতে পারেন না ঠিক কখন থামতে হবে।

এই করতে গিয়ে কেউ কেউ নজরদারি পযর্ন্ত শুরু করে দেন পার্টনারের ব্যক্তিগত জীবনের উপর৷ সেটা হতে পারে তার সোশাল হ্যন্ডেলস-এ বা চেনা পরিচিতের পরিসরে৷ এটা অত্যন্ত ক্ষতিকারক একটি প্রবণতা৷ প্রথম দিকে সঙ্গী বা সঙ্গিনী এটিকে পজেসিভনেস বলে ধরে নিলেও, এই প্রবৃত্তি দীর্ঘদিন চললে তা ভাঙনের সামনে এনে দাঁড় করায় সম্পর্ককে৷

কিন্তু প্রশ্ন হল, কীভাবে বুঝবেন যে ভালোবাসা আর পজেসিভনেস-এর সীমারেখা কোনটি?  লক্ষ্য রাখুন--

  • প্রেমিক বা প্রেমিকা আপনার ফেসবুক ও হোয়াটস অ্যাপ অ্যাকাউন্টের প্রতি বেশি নজরদারি চালাচ্ছে কী না৷ কোনও মহিলার সঙ্গে কথা বললে কি ক্ষুব্ধ হচ্ছেন আপনার স্ত্রী বা প্রেমিকা? এ নিয়েই কি তিক্ত হচ্ছে দুজনের সম্পর্ক?
  • যে-মহিলা বা যে-পুরুষকে নিয়ে সমস্যা, তার সঙ্গে সম্পর্ক শেষ না হলে কি প্রেমিক বা প্রেমিকা আপনাকে হুমকি দিচ্ছেন?
  • না জানিয়ে কি বন্ধু বা সহকর্মীদের কাছে ফোন করে গতিবিধি জানার চেষ্টা করছেন আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী?
  • অন্য কোনও বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের কারও সঙ্গে  বেড়াতে বা খেতে যাওয়ার পরিকল্পনা  ভালো চোখে দেখেন না আপনার পার্টনার?

উপরের এই প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তবে মনে রাখবেন ভালোবাসা বা পজেসিভনেস নয়- আপনার কাছের মানুষটি ভুগছেন মানসিক রোগে৷ দেরি না করে তাড়াতাড়ি কোনও মানসিক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন৷ মিলতে পারে, সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার উপায়৷

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...