সময় কারওর জন্য অপেক্ষা করে না। আর এই ঘড়ির কাঁটার মতো আমরাও ছুটছি দিনরাত, নানা কারণে। সবাই এখন ভীষণ ব্যস্ত। কারও হাতে বাড়তি সময় নেই। কিন্তু আত্মীয়স্বজনের মধ্যে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে কিংবা মজবুত করার জন্য সময় দেওয়ার প্রয়োজন। অথচ এই সময়েই বড়ো অভাব। মোবাইল, ইন্টারনেট প্রভৃতির মাধ্যমে এখন সবাই কুশল বিনিময় করেন এবং সম্পর্কগুলোকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু আত্মীয়স্বজনের বাড়ি গিয়ে তাদের মুখোমুখি বসে আড্ডা মারা কিংবা সৌজন্য বিনিময় করার গুরুত্ব আলাদা। অতএব, সারপ্রাইজ ভিজিট দিয়ে সবাইকে আনন্দ দিন এবং সম্পর্কগুলোকে মজবুত করুন। তবে সারপ্রাইজ ভিজিট-এরও কিছু রীতিনীতি আছে, যা মেনে চলা জরুরি।
আত্মীয়স্বজনের সুবিধে-অসুবিধে
সারপ্রাইজ ভিজিট ভালো এবং এতে আনন্দলাভের সুযোগ ঘটে। তবে, ভেবেচিন্তে যাওয়া উচিত। মাথায় রাখবেন, সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভুল সময়ে গেলে, আনন্দের পরিবর্তে আত্মীয়-বন্ধুদের কাছে আপনার উপস্থিতিটা বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে। তাই সপ্তাহের মাঝখানে না গিয়ে সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনে যান। এর ফলে কেউ বিরক্ত হবেনও না এবং আনন্দের আবহ তৈরি হবে। সবাই সবাইকে সময়ও দিতে পারবেন।
সঠিক তথ্য নেওয়া জরুরি
যার বাড়িতে যাবেন, তিনি বাড়িতে আছেন কিনা সেই তথ্য সঠিকভাবে নিয়ে তারপর সারপ্রাইজ ভিজিট-এ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিন। খোঁজ নিয়ে জানুন, ওই দিন ওদের অন্য কোনও প্রোগ্রাম ফিক্সড কিনা কিংবা অন্য কোনও অতিথি উপস্থিত কিনা। তাই, প্রথমে ফোন করে কৌশলে সমস্ত তথ্য নিয়ে তারপর যাওয়ার কথা ভাবুন।
আপ্যায়ন প্রসঙ্গে
শুধু নিজে আপ্যায়িত হবেন এমনটা যেন না হয়। কারণ, এক তরফা আপ্যায়নের বিষয়টিও আপনার আত্মীয়কে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। তাই যাওয়ার সময় মিষ্টি কিংবা ওদের প্রিয় কিছু খাবার সঙ্গে নিয়ে যান। এর ফলে খাওয়া এবং আড্ডা দুই-ই বেশ জমে যাবে।
স্মৃতি রোমন্থন করুন
বন্ধুর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ না থাকলে সম্পর্কের বুনিয়াদ কিছুটা হলেও দুর্বল হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে, স্মৃতি রোমন্থনের মাধ্যমে সেই দুর্বল সম্পর্ককে আবার মজবুত করা যেতে পারে। তাই, ছোটোবেলার কথা কিংবা স্কুল-কলেজের মধুর মুহূর্তগুলোর কথা মনে করিয়ে দিন। বিশেষ করে কোনও ইমোশনাল ঘটনার উল্লেখ করুন। দেখবেন, সম্পর্কে আবার সেই ঘনিষ্ঠতা ফিরে আসছে।