সাইকোলজিস্টদের মতে বাচ্চার জন্মের পর প্রথম ছবছর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ই বাচ্চা যা-যা শেখে, তার ছাপ পড়ে তার সারা জীবনের উপর। সুতরাং শৈশব থেকেই তার মধ্যে সুঅভ্যাস গড়ে তুলুন। বাচ্চাদের হেলদি লাইফস্টাইল মেইনটেন করা এবং তাদের ডিসিপ্লিন শেখানোটা মা-বাবার দায়িত্ব। ইন্টারনেটের যুগে ফোন বা কম্পিউটার খুললেই অনেক রকম তথ্য আদান-প্রদান হয় যেটা থেকে সাময়িক ভাবে বাচ্চার উপকার হলেও, কিছু কিছু দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিও হয়ে যায় বাচ্চাদের। মা-বাবাকে দেখেই বাচ্চার অভ্যাস গড়ে ওঠে সুতরাং আগে নিজেদের ডিসিপ্লিনড এবং হেলদি লাইফস্টাইলে অভ্যস্ত করে নিয়ে তারপরে বাচ্চার মধ্যেও সেই অভ্যাসগুলো গড়ে তুলতে হবে।

যা করা জরুরী

  • জলখাবার স্কিপ করা কোনও ভাবেই চলবে না। সারাদিনে এর গুরুত্ব অপরিসীম। দিনের শুরুতেই এনার্জি লেভেল সঠিক থাকবে এবং খাওয়ার একটা নির্ধারিত সময় ঠিক হয়ে যাওয়ার ফলে দৈনন্দিন রুটিনে এটা পরিবর্তিত হবে। বাযোলজিক্যাল ক্লক সঠিক হয়ে যাওয়ার ফলে ক্রনিক অসুস্থতার হাত থেকেও বাচ্চা রেহাই পাবে
  • বাচ্চারা অনেক সময় খাওয়া নিয়ে নানা রকম বায়না করে। তাকে যা খেতে দেওয়া হচ্ছে, তা সে খেতে চাইছে না আবার তার প্রযোজনও ঠিক ভাবে বলতে পারছে না। যেন ভেবে নেওয়া না হয় যে, তার খিদে নেই। তখন তার টেস্ট-এর পরিবর্তন করে দেখতে হবে। তাই কিছু মুখরোচক খাবার, যেগুলো একইসঙ্গে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর এরকম খাবার তৈরি খেতে দিন। যেমন আটার মোমো, ম্যাকারনি, ভেজ প্যানকেক, মাল্টিগ্রেন ব্রেড কাটলেট, টেস্টি পনির কিউবস
  • বাচ্চাদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশের জন্য বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যে-কোনও এক্সারসাইজ করাটা বাচ্চাদের উচিত। প্যান্ডেমিকের কারণে হওয়া লকডাউন এখন ধীরে ধীরে শিথিল করা হয়েছে। ফলে বাড়ির বাইরে গিয়ে অন্তত এক ঘন্টা বাচ্চাদের খেলাধুলো বা এক্সারসাইজ করা উচিত। এতে বাচ্চার সোশ্যাল স্কিল্স-ও যেমন বাড়বে, তেমনই বাচ্চা অনেক বেশি অ্যাকটিভ হবে এবং পড়াশোনাতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে
  • বাচ্চাকে পড়ার অভ্যাস করান। ঘুমোবার আগে বাচ্চার পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। যে-বিষয়টি বাচ্চা ভালোবাসে তাকে সেই বিষয়ের উপর বই দিন। এতে শব্দ পরিচিতি যেমন বাড়বে, তেমনি নানা বিষয়ে জ্ঞানও বাড়বে। ফলে ভবিষ্যতে এর থেকে অনেক সুফল পাবে সে এবং মানসিক বিকাশেও সুবিধা হবে
  • পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবার সুযোগ করে দিন। নিজেরা বাচ্চাকে সময় দিন এবং যাতে নিজের সমস্যা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে সে, তার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করুন। বাচ্চার সঙ্গে বন্ডিং তৈরি করুন। দিনের কোনও একটা সময়ে একসঙ্গে বসে খাবার খান। সারাদিনের এক্সপিরিযে্ন্স শেয়ার করুন। নিজেদের পছন্দের এবং সন্তানের পছন্দের কোনও টপিক নিয়ে আলোচনা করুন। মনে রাখবেন বাচ্চার সাহায্যের প্রযোজন হলে, আপনাদের যেন সে পাশে পায়
  • স্বাস্থ্যই শরীরের সম্পদ, এই কথাটা বাচ্চাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিন। ছোটো থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে শেখান। দাঁত ব্রাশ করা, সময়ে সময়ে হাত সাবান দিয়ে ধোয়া, বাইরে থেকে এসে হাত-পা-মুখ সব ধোয়া ইত্যাদি ছোটো থেকেই শেখানো দরকার
  • বাচ্চাকে ইমোশনালি স্ট্রং করে গড়ে তুলুন যাতে কমফর্ট পেতে অন্য কোনও জিনিসের উপর নির্ভরশীল না হয়ে পড়ে। বড়ো হয়ে সেটাই অ্যালকোহল বা ড্রাগের উপর নির্ভরশীলতা বাড়াতে পারে। সব রকমের ইমোশন এক্সপ্রেস করতে দিন ওদের। রাগ, দুঃখ এক্সপ্রেস করার স্বাধীনতা থাকা একান্ত দরকার। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, জেদ, ট্যানট্রাম ইত্যাদি মেনে নেবেন না
  • বাচ্চার জন্য দরকার পর্যাপ্ত ঘুম। আট ঘন্টা টানা ঘুমোনো খুব দরকার। ঘুমের ব্যাঘাত যেমন বাচ্চার ইমিউনিটি নষ্ট করে, তেমনি শরীরে হাড়, টিসু কোশের বিকাশেও বাধা দেয়। বাচ্চা অমনোযোগী হয়ে পড়ে, কনসেনট্রেশন লেভেল কমে যেতে থাকে। সুতরাং বাচ্চাদের তাড়াতাড়ি ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া উচিত এবং যাতে কম্পিউটার বা মোবাইল না ঘাঁটে শোওয়ার সময়, সে বিষয়ে অভিভাবকদের স্ট্রিক্ট হতে হবে
  • বাচ্চার চরিত্রগঠনে বাড়ির অভিভাবকদেরও সংযত থাকতে হবে। বাচ্চার সামনে বড়োরা যেন ঝগড়া না করে। কারণ, বড়োদের ঝগড়া করতে দেখলে, ভয় পেয়ে বিরক্ত হয়ে সে-ও জেদ দেখাতে পারে। তাই, বাচ্চার প্রতি নিজেদের ভালোবাসা প্রকাশ করুন। যেন কোনও ভাবেই বাচ্চা অসহায়তা অনুভব না করে। বাচ্চা যখন জেদ করবে, তখন তাকে মারধর কিংবা অন্য কোনও ভাবে শাস্তি দেবেন না। ওকে আদর দিয়ে অন্য কোনও ভাবে ব্যস্ত রাখুন, হাসাবার চেষ্টা করুন
  • বাড়ির অন্যদের সম্পর্কে বাচ্চার সামনে কোনও কথা বলবেন না। বাড়ির আর্থিক পরিস্থিতি তার সামনে আলোচনা করবেন না। জোরে বা ঝাঁঝিয়ে কথা বলবেন না বাচ্চার সঙ্গে। আবার তার সব বায়না বা জেদকেও প্রশ্রয় দেবেন না। বাচ্চার সামনে খারাপ শব্দের ব্যবহার কখনও-ই করবেন না। তাকে সঠিক বন্ধু নির্বাচন করতে সাহায্য করুন।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...