আমরা কী খাচ্ছি, কেমন তার গুণমাণ এ কথা ভেবে দেখেছেন কী? অর্গ্যানিক খাবারের গুণাগুণের বিষয়ে প্রচারক এই সরকার যখন বিদেশে গিয়ে কথা বলে, তখন দেখা যায় ভারত রাসায়নিক, পেস্টিসাইড প্রভৃতির বিরুদ্ধে বেশ সোচ্চার । এদিকে বালিতে আয়োজিত জি- ২০ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদী দরাজ গলায় জানিয়েছেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ না থামলে আগামী দিনে কেমিক্যাল ফার্টিলাইজার, পেস্টিসাইড, ইনসেক্টিসাইড-এর ঘাটতি হবে এবং সারা পৃথিবীতে খাদ্য-সামগ্রীর অভাব দেখা দেবে।

হয়তো তিনি একথাও বলতে চেয়েছিলেন যে, কোনও অলৌকিকতাকে ভিত্তি করে  ভারতীয় মুনি-ঋষিরা মন্ত্রপাঠ করলে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ থেমে যাবে এবং পেস্টিসাইড, ইনসেক্টিসাইডস, কেমিক্যাল ফার্টিলাইজিং সামগ্রী আবার আমদানি করা যাবে এবং খাদ্য-সমস্যা দূর হবে।

বাস্তব আসলে অন্য কথা বলে। দেশ তথা পৃথিবীর সব মানুষ যে নির্বোধ নন, এই ধ্রুব সত্যটা রাজনীতির লোকেরা যত তাড়াতাড়ি বুঝবেন, ততই মঙ্গল। এই যেমন আমরা জানি, ইউক্রেন- রাশিয়ার যুদ্ধে ‘জোর যার মুলুক তার' এটাই প্রমাণ করতে চাওয়া হচ্ছে। যুদ্ধ মানেই সভ্যতার বিনাশ৷ বোমা-গুলির নৈরাজ্য হয়ে দাঁড়ায় একটা ভূখণ্ড আর সাধারণ নাগরিক অত্যাচারের শিকার হয়ে মৃত্যু-ভয়ে সিঁটিয়ে থাকেন৷ এই বিষয়টা পাগলেও বোঝে। খাদ্য ও বাসস্থানের অভাবে এখন রাশিয়া এবং ইউক্রেন- যুদ্ধরত দুই দেশের মানুষই বিপর্যস্ত৷

পেস্টিসাইড কিংবা গম, বিষয় যাই হোক না কেন, এইসব সংকটকে সামনে রেখে বড়োবড়ো বক্তৃতা দিয়ে শুধু রাজনৈতিক বাজার গরম করতে চেষ্টা করা ছাড়া আর কিছুই ঘটছে না। আসলে সাধারণ মানুষের জন্য কেউ ভাবে না। ভোটে জেতার জন্য রাজনৈতিক নেতারা কী না বলেন, কী না করেন! গঙ্গা নদীর কথা বলতে গিয়ে গঙ্গারাম কিংবা যমুনা নদীর কথা বলতে গিয়ে যমুনাদাসের মুখরোচক কাহিনি তৈরি করে আমজনতার মন জয় করতে চান।

নরেন্দ্র মোদী যখন পেস্টিসাইড-এর অভাবে কী হতে পারে সেই বিষয়ে কথা বলে বাজার গরম করেন, তখন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য  মহিলারা সংসার চালাতে জেরবার হন৷ দুশ্চিন্তায় দিন কাটান। বিশ্ববাজারে সামান্য দাম বাড়লে ভারতীয় মুনাফাবাজরা চারগুন দাম বাড়িয়ে দেয়। আর এইসব দেখেশুনে ভয় হয়, এই দুর্দিন-ই কি তাহলে সেই 'অচ্ছে দিন’? মনে তাই প্রশ্ন জাগে, আগামী দিনে মধ্যবিত্ত এবং গরিব লোকেদের বেঁচে থাকার মতো পরিস্থিতি থাকবে তো ! সামান্য পাউরুটি আর ডাল-ভাত খেয়ে দিন গুজরান করে যে সাধারণ মানুষ, সেটুকুও কি তারা জোটাতে পারবে দৈনিক দিনযাপনের খরচ সামলে?

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...