নারী এখন আর অবহেলার সামগ্রী নয় কিংবা মুখ বুজে হিংসার বলি হওয়ার নয়। নারী এখন শারীরিক কিংবা মানসিক সবদিক থেকে শক্তিধারী। কারণ, আজ তারা শিক্ষিতা, আর্থিক ভাবে সাবলম্বী এবং লড়াই করে বাঁচতে জানে। অনেক ক্ষেত্রে তো ছেলেদের পিছনের সারিতে রেখে দিয়েছে মেয়েরা।
শিল্প-সংস্কৃতি এবং সভ্যতার অনন্য বৈশিষ্ট্যের জন্য ভারত বিশেষ ভাবে পরিচিত সারা বিশ্বে। প্রত্যেক ভারতবাসী এরজন্য গর্ব অনুভব করেন। আর এই অনন্য বৈশিষ্ট্যের জন্য বেশিরভাগ কৃতিত্বের দাবীদার ভারতীয় নারীরা। কারণ, ‘ভারতীয় নারী’ এই শব্দ দুটি শুনলেই প্রেম, করুণা, দয়া, ত্যাগ, সেবা প্রভৃতি ভাবমূর্তি ফুটে ওঠে চোখের সামনে। আসলে, ভারতীয় নারী মানেই সৌন্দর্য এবং কোমলতা-র মিশ্রণ। এইসব গুণ নারীরা পেয়েছেন প্রকৃতিগত ভাবেই।
বেশিরভাগ পরিবারে দেখা যায়, নারী তার সমস্ত গুণ এবং শক্তি দিয়ে পরিবারকে সুখময় করতে চায়। প্রাকৃতিক নিয়মেই নারীরা সংসারের হাল ধরেন শক্ত হাতে। এরজন্য তারা অনেক সময় আত্মসুখও বিসর্জন দিয়ে থাকেন। তাই, নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে, মনিপালসিগনা হেলথ ইন্স্যুরেন্স ভারতে ১০,০০০ মহিলা উপদেষ্টা নিয়োগের জন্য মহিলা উপদেষ্টা প্রোগ্রাম চালু করেছে। ভারতে স্বাস্থ্য বীমা উপদেষ্টা হিসাবে মহিলাদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সংস্থা। আসলে এর উদ্দেশ্য, দেশব্যাপী নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা। কোম্পানি বিভিন্ন রাজ্যে আর্থিক এবং স্বাস্থ্য বীমা প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়ে ভারত জুড়ে ১০,০০০ মহিলা উপদেষ্টাদের অন-বোর্ড করার পরিকল্পনা করেছে।
মনিপালসিগনা বীমা সংস্থার চিফ মার্কেটিং অফিসার স্বপ্না দেশাই প্রসঙ্গত জানিয়েছেন, ‘দেশব্যাপী নারী উপদেষ্টা প্রোগ্রামেরে লক্ষ্য ১০,০০০ নারীদের স্বাস্থ্য বীমা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা। এই উদ্যোগটি বীমা ইন্ডাস্ট্রিতে নারীদের অনন্য শক্তি এবং প্রতিভাকে কাজে লাগানোর জন্য একটি বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গির অংশ। মহিলারা তাদের পরিবারের স্বাস্থ্য রক্ষাকারী এবং তাদের পরিবারের সুস্থতা নিশ্চিত করেন। এই উদ্যোগের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে, আমরা শুধুমাত্র বৈচিত্র্য এবং অন্তর্ভুক্তির প্রচারই করছি না বরং সেই সব নারীদের জন্য সুযোগও তৈরি করছি, যারা সবেমাত্র তাদের কর্মজীবন শুরু করছেন বা যারা আবার শুরু করতে চাইছেন। আমরা নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য নিবেদিত রয়েছি এবং তাদের ভূমিকা পালনের জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য করার প্রস্তুতি নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হল, তাদের বীমা ইন্ডাস্ট্রিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে সাহায্য করা।’