রাকেশের সঙ্গে তিতলির প্রেমটা যে জমে ক্ষীর হয়েছে, সেটা কলেজের প্রায় সবাই জানে।  বড়োলোক বাপের একমাত্র ডাকসাইটে সুন্দরী মেয়ের সামনে যে একটা বড়ো কিউ থাকবে- সেটাই স্বাভাবিক। সেই লম্বা কিউ টপকে রাকেশ তিতলির মন জিতে নিয়েছে। স্বাভাবিক নিয়মেই তিতলি-ভক্তের দল রাকেশকে ঈর্ষা করে। রাকেশ অবশ্য সেটাকে বেশ উপভোগ করে।

তিতলির মন জিততে কম ঘাম ঝরাতে হয়নি রাকেশকে! তিতলি, জেদ আর অহংকারে ভরপুর। কিন্তু রাকেশও নাছোড়বান্দা। আর মন দিয়ে লেগে থাকলে কী না হয়! তবে রাকেশের বাবাও একেবারে ফ্যালনা নয়। তিতলির বাবার মতো বড়ো শিল্পপতি না হলেও ফেলে ছড়িয়ে খারাপ রোজগার করেন না।

কলকাতার বুকে দুটো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত জুয়েলারি দোকান। আরও একটা খোলার চেষ্টা করছেন যাদবপুরে রাকেশের জন্য। কিন্তু রাকেশের দোকানদারিতে তেমন ইচ্ছে নেই। ও ম্যানেজমেন্ট পড়তে চায় বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিতলিরও সেটাই পছন্দ।

খবরটা তিতলির বাবা সুনীলবাবুর কানেও উঠেছে। তিনি দেমাকি মানুষ হলেও অকারণে কাউকে নেগলেক্ট করেন না। সিনেমার টিপিক্যাল বড়োলোক বাপের মতো সবাইকে ফকির বলা তাঁর অভ্যাস নেই। কারণ তিনি নিজেও একদিন প্রায় ফকিরই ছিলেন। ইচ্ছে আর চেষ্টা থাকলে সাধারণ মানুষও যে অনেক উপরে উঠে আসতে পারে, এটা তিনি মানেন।

মেয়ের আচরণই মাঝে মাঝে তাঁকে খুব কষ্ট দেয়। একমাত্র মেয়ে বলে ছোটো থেকেই প্রাচুর্যের চূড়ান্ত। আর এই অক্লেশে সবকিছু পাওয়াটা ওর মধ্যে একটা দম্ভ এনে দিয়েছে। এর জন্য ওর মাকে দায়ী করলেও নিজের দোষ পুরোপুরি এড়িয়ে যান না সুনীলবাবু। টাকা রোজগারের নেশায় তিনিই বা কতটুকু সময় দিয়েছেন মেয়েকে?

মল্লিকার উপর সব দায়িত্ব চাপিয়ে নিশ্চিন্ত থেকেছেন। মল্লিকা যে এভাবে মেয়েকে অহংকারী বানিয়ে ছেড়েছে, জানার পর প্রতিবাদ করেছিলেন সুনীলবাবু। মল্লিকা মানেননি এসব অভিযোগ। উলটে অনুযোগের সুরে বলেছিলেন, আহা, আমরা পাইনি বলে কি ও এসব পাবে না?

সুনীলবাবু কী জবাব দেবেন এই কথার! পাওয়া আর কষ্ট করে পাওয়ার তফাতটা কে বোঝাবে ওকে?

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...