অয়নের আজ প্রথম দুটো ক্লাস অফ। সে যখন কলেজের স্টপে বাস থেকে নামল, ঘড়িতে এগারোটা। অর্থাৎ সবে ফার্স্ট ক্লাস শেষ হয়েছে। হাতে এখনও চল্লিশ মিনিট। কয়েক পা কলেজের দিকে এগিয়ে তাকে দাঁড়িয়ে পড়তে হল। অসীমা কলেজ থেকে বেরিয়ে আসছে। তার আজ পরপর ক্লাস। ফার্স্ট হাফে কোনও অফ নেই। অয়নের কপালে ছোট্ট ভাঁজ পড়ল। অসীমা ক্লাস অফ পচ্ছন্দ করে না। কলেজে এলে সে প্রত্যেকটা ক্লাস অ্যাটেন্ড করবেই। তাদের গ্রুপটা যত অ্যাট্রাক্টিভ প্রোগ্রামই অ্যারেঞ্জ করুক না কেন, সে একটা ক্লাসও মিস করতে চায় না। তার খুব সহজ কথা, কলেজে এলে ক্লাস করবই। প্রোগ্রাম করতে হলে কলেজ শেষের পর। নইলে পুরো দিন অফ করে।

গত দুটো বছর ধরে অয়ন লক্ষ্য করছে, আধা খ্যাঁচড়া ভাবে কোনও কাজ করা অসীমা পচ্ছন্দ করে না। যা করে, খুব গুছিয়ে করে।

সেই অসীমা কলেজ কেটে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে। এটা আজ প্রথম নয়। গত তিন মাস ধরে চলছে। শুধু কলেজ কেটে নয়, প্রোগ্রাম কেটেও দু’বার হাওয়া হয়েছে। অয়ন লক্ষ্য করেছে অসীমার মোবাইলে ফোন আসে। ফোনটা রিসিভ করার পর তার মুখের চেহারা সম্পূর্ণ পালটে যায়। দুঃখে না আনন্দে, বিষণ্ণতায় না আতঙ্কে, কিছুই বোঝা যায় না। মুখটাকে অন্য হাতের চেটো দিয়ে আড়াল করে মিনিট খানেক কথা বলে। তারপর কাউকে কিছু বলার জন্য সামান্যতম সময় নষ্ট না করে হনহন করে কিছুটা উদ্ভ্রান্তের মতো বেরিয়ে যায়।

কয়েকবার ব্যর্থ চেষ্টার পর অসীমার মোবাইল বেজে ওঠার সময় অয়ন একদিন এক মুহূর্তের জন্য তার মোবাইলের স্ক্রিনটা দেখার চান্স পেয়েছিল। সেখানে ফুটে ওঠা নম্বরটা ছিল ল্যান্ড লাইনের। এত অল্প সময়ের জন্য সে নম্বরটা দেখতে পেয়েছিল যে তার মেমারি সেটা ক্যাচ করতে পারেনি।

কেন অসীমা এমন ভাবে চলে যায়, প্রশ্নটা বেশ কয়েকবার অনেক রকম ভাবে অনেকে অসীমাকে করেছে। উত্তর একই, আছে বস, আছে। সব কিছু কি আর শেয়ার করা যায়। ওটা বড্ড বেশি সিক্রেট চ্যাপ্টার। প্যানডোরার বক্সের মতো ওপেন হলেই অজানা ব্যথায় পৃথিবী ভরে যেতে পারে। কথাগুলো শেষ করে মিনিট খানেক ধরে সে হাসে। সেই হাসির পর নীল আকাশ জুড়ে রোদ আসে। তারপর সকলের মন থেকে প্রশ্নটা হারিয়ে যায়।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...