‘আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিল...’

সময়টা এখন ডিসেম্বরের শেষ। সাড়ে দশটার নরম হলুদ সকাল। ব্রেকফাস্ট সেরে হোটেলের সামনে থাকা সুন্দর করে সাজানো লনে এসে বসেছি। সামনে আদিগন্ত নীল, শুধু নীল জল। গোপালপুর অন সি-তে আসার ইচ্ছা আমার অনেক দিনের।

‘বাবাই, ফুল ছেঁড়ে না’, চেঁচিয়ে ওঠে সুমি, ‘ওঃ, এই এক ছেলে হয়েছে, এত অসভ্য! আমি আর পারি না। রাকেশ, এই রাকেশ, দ্যাখো তোমার ছেলে একটুও কথা শোনে না।’

টঙ্কাস ততক্ষণে টবের গাছ থেকে বেশ কয়েকটি ফুল ছিঁড়ে, মুঠোয় ভরে হাসছে। ওর চোখে-মুখে দিব্যতা, দুষ্টুমি ঝরে পড়ছে।

ভায়রা রাকেশ সকলের সঙ্গে সেলফি তুলে বেড়াচ্ছিল। ছুটে এসে ছেলের মাথায় সাঁটিয়ে কষাল এক উড়ন-চাঁটি। তাতে বছর ছয়েকের টঙ্কাস একটু থতমত খেয়ে অদ্ভুত দৃষ্টিতে বাবার দিকে তাকাল, তবে কাঁদল না। মাথার পিছনে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে ঘটনার গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করতে লাগল সম্ভবত। ও মোটেও ছিঁচকাঁদুনে নয়। তবে খুব দুরন্ত।

রাকেশ চোখ পাকিয়ে বলে উঠল, ‘তোমাকে কতবার বারণ করা হয়েছে অসভ্যতা না করতে।’

পরিস্থিতি সামাল দিতে আমি এগিয়ে গেলাম।

ওদিকে মেয়েরা হোটেলের লনে বিভিন্ন পোজে বিভিন্ন পজিশনে কখনও একক, কখনও বা যৌথ ভাবে ফটো তুলতে ব্যস্ত। খেয়াল নেই, সকলেই প্রায় ঘরোয়া পোশাকে রয়েছে।

হোটেলের নাম ‘সং অফ দ্য সিগাল’।

নামটি শুনলেই সমুদ্রের ফেনার মতন হালকা হয়ে যায় মন। নীল জল যেখানে বালির সীমানা ছুঁয়েছে তার ওপর উড়তে থাকা শঙ্খচিলগুলোর ডাক বুঝি শোনা যায় বুকের গভীরে।

অসীম আর হরলালদা এগিয়ে আসে আমার দিকে। ওরা আমাদের খানিক পর ব্রেকফাস্ট সেরে বেরোল। হরলালদা কাছে এসে বলল, ‘আরে শালাবাবু, একটু ধূমপান চলবে নাকি?’

‘চলো, ওদিকটায় গিয়ে বসি’, বলে আমি ওদের হোটেলের গাড়িবারান্দার কাছাকাছি নিয়ে গেলাম। কয়েকটি চেয়ার টেনে বসলাম তিনজন। তারপর সিগারেট ধরালাম।

বললাম, ‘গতকাল ইস্টকোস্ট এক্সপ্রেস লেটে চলছে জেনে দুশ্চিন্তায় পড়েছিলাম। সঙ্গে বাচ্চা-কাচ্চা, মেয়েরা। কারণ, শুনেছিলাম গোপালপুর জায়গাটা পুরীর মতন অত জমজমাট নয়, বেশ ফাঁকা ফাঁকা।’

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...