সন্ধে হয়ে আসছে দেখে দীপিকা বিছানা ছেড়ে তাড়াতাড়ি করে বালিশ, চাদর গোছানোতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। শ্যাম্পু করা রেশমের মতো হালকা চুলগুলো ইতিউতি ওর গোলাপি গালে বারবার উড়ে আসাতে ও বিরক্ত বোধ করছিল আর বারবারই শেপলি কোমল আঙুলগুলো দিয়ে চুলগুলো কানের পাশে ঠেলে দিতে চেষ্টা করছিল।

‘প্লিজ উঠে পড়ো... চাদর ভাঁজ করতে হবে’, বলতে বলতে দীপিকা শুভ্র-কে ধাক্বা দেয়। শুভ্র তখনও বিছানা অাঁকড়ে পড়েছিল।

‘থাকতে দাও না চুলগুলো মুখের উপর... মনে হচ্ছে যেন মেঘ চাঁদকে ঢাকবার চেষ্টা করছে, দীপিকার আপ্রাণ চেষ্টা দেখে শুভ্র শুয়ে শুয়েই মন্তব্য করল।

‘সন্ধে হয়ে আসছে শুভ্র, এবার যদি মেঘেদের বাড়ি না পাঠাই তাহলে আজ তোমার এই চাঁদকে একেবারে অস্ত যেতে হবে, বুঝেছ সোনা?’

‘তোমার আবার কীসের ভয়? না তোমার থাকার জায়গার অভাব আর না তোমাকে থাকতে দেওয়ার লোকের অভাব... যেদিন তুমি হ্যাঁ করবে সেদিনই আমি...’

‘ব্যস ব্যস, হ্যাঁ তো বলেইছি... এখন বাড়ি যাও। উদয় আসার সময় হয়ে গেছে... ততক্ষণ আমি সবকিছু ঠিকঠাক করে নিই’, যত দ্রুত সম্ভব অবিন্যস্ত ঘরটা গোছাতে গোছাতে দীপিকা জিজ্ঞেস করল, ‘কাল কখন আসবে?’

‘ওই একই সময়, বারোটার কাছাকাছি, বলেই শুভ্র একটু সিরিয়াস হল, ‘দীপা, এই ভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করতে আর ভালো লাগছে না, মনে হয় যেন কোনও অন্যায় করছি।’

‘অন্যায় তো আমরা করছি বটেই শুভ্র। আমরা দুজন যদি বিবাহিত স্বামী-স্ত্রী হতাম তাহলে অন্য কথা ছিল, কিন্তু এখন আমি উদয়ের স্ত্রী... তুমি এখানে আসো আমার সংগীতশিক্ষক হিসেবে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের এই সম্পর্ক গড়ে তোলাটা অন্যায় নয়-তো কী?’

‘এরকম কেন বলছ?

উদয়ের অনেক আগেই আমি তোমার জীবনে এসেছি। যদি

জাত-ধর্ম তুলে আমাদের দু’জনের বাড়ির লোকেরা বাধা না দিত আমাদের প্রেমে, আর অন্য শহরে তোমার বিয়ে না দিয়ে দিত জোর করে, তাহলে হয়তো...’

‘ছাড়ো পুরোনো কথা। এটাই তো ভাগ্য বলতে হবে যে অন্য শহরে এসেও তোমার সঙ্গে হঠাৎ-ই দেখা হয়ে গেল। ভগবানও আমাদের দুজনের প্রেম দেখে উপায় একটা করেই দিয়েছেন।’

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...