প্রায় ফাঁকা লেডিস কম্পার্টমেন্টটার দিকে তীব্র ঈর্ষার দৃষ্টিতে তাকিয়ে পার হতে গিয়েই বিপদটা ঘটল। আসলে... আটটা পঁচিশের কাটোয়া লোকাল ভায়া ব্যান্ডেল, এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে। কৃপয়া ধ্যায়ান দে... শোনা মাত্র হাওড়া স্টেশনের কয়েক হাজার লোক মুহূর্তে তাদের নখ দাঁত বার করে হুড়মুড় করে ছুটতে শুরু করল এক নম্বর প্ল্যাটফর্মের দিকে। যেন এটাই পৃথিবীর শেষ ট্রেন। চুয়ান্ন বছরের সুতনু চক্রবর্তীও সেই ভিড়ে ডুবেছিলেন মিনিটকয়েক আগে। আজ কপালটাই খারাপ। মনে মনে নিজের কপাল এবং অফিসের মালিক দিনেশ পরশরামপুরিয়াকে দুটো মোক্ষম গালাগাল দিয়ে একগলা ভিড়ে ভাসতে ভাসতে এগোচ্ছিলেন প্ল্যাটফর্ম বেয়ে। এত দেরি রোজ হয় না। সাতটা চল্লিশ কিংবা সাতটা পঞ্চান্নর ট্রেনটা ধরেন উনি। আজ অফিস থেকে বেরোনোর শেষ মুহূর্তে মালিক ডাকলেন। কেজরিওয়ালের ফাইলটা আপডেট করে দিতে বললেন। ব্যস, করতে গিয়ে দেরি হয়ে গেল। যার ফল পেটে গুঁতো, পায়ে বুটের মাড়ানো, পিঠে ক্রমাগত ধাক্বা। শালা আর সয় না। কুত্তার জাত সব।

ওই ভাবেই এগোতে এগোতে আচমকা পিছনের কোনও সহমর্মী সহযাত্রীর ধাক্বায় দুটো কম্পার্টমেন্টের মাঝখানের ফাঁকায় মুখ থুবড়ে পড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। প্রচণ্ড ভয়ে চোখ বুজেও ফেলেছিলেন সঙ্গে সঙ্গে। তারপর চোখ খুলে বুঝলেন যে এযাত্রায় বেঁচে গেছেন। উনি লাইনের ওপর নয় একটা কম্পার্টমেন্টের দরজা গলে ফুটবোর্ডের ওপর পড়েছেন। তার ওপরেই থেবড়ে কয়েক মুহূর্ত বসে রইলেন। তারপর উঠলেন। মাথাটা পুরো ঘেঁটে গেছে। আর একটু হলে কী বিপদটাই না হচ্ছিল! এ কামরাটা পুরো ফাঁকা। কেন? তার মানে লেডিসে ঢুকে পড়েছেন। জিআরপি দেখতে পেলে অপমানের একশেষ। দরজা দিয়ে বাইরে উঁকি দিলেন। না ওই তো ঠিক পিছনের কামরাটাতেই ধাক্বাধাক্বি করে সব মহিলারা উঠছেন। তার মানে ওটা লেডিস বগি। তাহলে এটা?

চোখের সামনে দিয়ে লক্ষ লক্ষ লোক বন্যার তোড়ে খড়কুটোর মতো ভেসে যাচ্ছে কিন্তু এদিকে কেউ তাকাচ্ছেও না। আশ্চর্য তো। তাহলে ডেফিনিট... হয় বমি না হয় পায়খানায় ছড়াছড়ি হয়ে রয়েছে বগিটা। চারদিক দেখলেন। নাহ তাও নেই।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...