ঊর্মিলা হন্তদন্ত হয়ে ক্যাব-এ উঠে পড়ল। তার কপালে, চিবুকে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে। হাজারও বিরক্তি মুখে মেখে প্রাণেলও উঠে পড়ল একই গাড়িতে। মে মাসের সূর্যের প্রখর তেজে চারিদিক ঝলসে যাচ্ছে। প্রাণেল সিটে বসেই রুক্ষ্ম ঝলসানো গলায় ঊর্মিলাকে বলল, কি যে করো সারাদিন! ছেলেটার দিকে নজর দিতে পারো না। ও দিন দিন উচ্ছৃঙ্খল হয়ে যাচ্ছে। ভালো স্কুলে প্রচুর টাকা দিয়ে অ্যাডমিশন করা নয়, ছেলে গোল্লায় গেলে গার্জিয়ান মিটিং-এ অপমান হজম করা।

ঊর্মিলা নিরুত্তাপ দৃষ্টিতে জানালার বাইরে তাকিয়ে ছিল। প্রাণেলের কথার প্রত্যুত্তর দেবার প্রয়োজন সে বোধ করল না। ঊর্মিলার কাছ থেকে কোনও প্রত্যুত্তর না পেয়ে প্রাণেল গলার স্বর চড়িয়ে বলল, কী হল! কথা বলছ না কেন! নিজের ত্রুটিগুলো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছি বলে ঠিক মানতে পারছ না।

ঊর্মিলা আর চুপ করে থাকতে পারল না। প্রাণেলের চোখে চোখ রেখে বেশ ভারী গলায় সে বলল, আমি সারাদিন বাড়িতে বসে থাকি বুঝি চাকরি ফেলে! আমার না হয় মা হিসাবে অনেক ত্রুটি আছে, একথা আমি মেনেই নিলাম। তুমি বাবা হয়ে কোন কর্তব্যটি পালন করো শুনি? একটা কম্পিউটার সেন্টারে পাঁচ ঘন্টার পার্ট টাইম জব করে বাড়িতে বসে আয় করো। যে-টাকা ইনকাম করো তাতে ডাল-ভাতের খরচা হয় না। আজ আমি প্রাইভেট ব্যাংক-এ জব করছি বলে সংসারের চাকা গড়গড়িয়ে চলছে।

প্রাণেল বলল, ও তুমিই যেন পৃথিবীতে একা মহিলা যে ইনকাম করে সংসার চালাচ্ছ! এখন সব মহিলাই রোজগার করে স্বামীদের হেল্প করার জন্য, তাতে হয়েছে কি!

ঊর্মিলা বলল, বাহ্ চমৎকার! দুহাতে রোজগার করে সংসারের জন্য উপার্জন করব আবার কথাও শুনব! প্রাণেল বলল, কথা শুধু শুনছ কি! সে হতাশ গলায় বলল, আমি সংসারের জন্য খুব বেশি টাকা আনতে পারি না বলে, প্রায় রোজই খোঁটা শুনতে হয়। ক্যাব এসে পড়ল তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে। ঊর্মিলা আর প্রাণেল দুজনেই গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির ভিতরে ঢুকল।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...