অনিতার চোখ বেয়ে নেমে এল জলের ধারা। সকালটা এভাবে শুরু হোক একেবারেই সে এটা চায়নি। তবু অনিমেষের কথাগুলো তাকে শুনতে হল।

নিতা, তুমি খুব ভালো করেই জানো কোম্পানিতে আমি একটা বড়ো দায়িত্বে আছি। ছোটো ছোটো কাজের জন্য বসের কাছে সবসময় ছুটির কথা বলাটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তোমার সঙ্গে সব জায়গায় যাওয়ার আমার কি খুব দরকার আছে? তুমি তো একলাও যেতে পারো। তোমাকে গাড়ি, ড্রাইভার সবই তো দিয়ে রেখেছি। আর কী চাও আমার থেকে?

কী চাই? তোমার ব্যস্ত শেডিউল থেকে খুব সামান্য একটু সময় এবং মনের কোণায় খুব অল্প একটু জায়গা পেলেই আমি খুশি।

ব্যস, শুরু হয়ে গেল তোমার দর্শনশাস্ত্র! সত্যি নিতা, তুমি একটা কথাকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাও।

অনিমেষ, অন্য সকলের জন্য তোমার কাছে অফুরন্ত সময় অথচ আমার বাপের বাড়ি যেতে বললেই তোমার কাছে সময় থাকে না, অনিতার চোখে জল চলে এল।

তুমি কি ভাবছ আমি মিথ্যা বলছি? কোম্পানির দোহাই দিচ্ছি? তোমার বাপের বাড়ির কোন অনুষ্ঠানটায় আমি যাইনি বলতে পারো? আমাকে দোষ দেওয়াটা তোমার স্বভাবে দাঁড়িয়ে গেছে।

অনিতা ঝাঁঝিয়ে ওঠে, তুমি যাওয়াতে আমার মা-বাবা উদ্ধার হয়ে গেছে। তোমার এই অবদান আমি ভুলতে পারি?

অনিতার এই কটাক্ষ অনিমেষকে আরও রাগিয়ে দেয়, তোমার মতো ইডিয়েটের সঙ্গে কথা বলারই কোনও মানে হয় না।

মা-বাবার নিত্যদিনের এই ঝগড়ায় তিন্নিও বিরক্ত হয়ে উঠেছিল। আজ আর ও নিজেকে কিছুতেই সামলাতে পারল না। মায়ের সামনে এসে একটু চেঁচিয়ে বলল, হোয়াট দ্য হেল ইজ দিস মাম্মা? সকাল-সন্ধে কিছুই তোমরা দ্যাখো না। ব্যস ঝগড়া করা চাই-ই?

হ্যাঁ, তুইও আমাকেই দোষ দে। আমি নরম মাটি কিনা! আবার জল গড়িয়ে পড়ে অনিতার চোখ দিয়ে৷

বাবা ততক্ষণে ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। তাই মা-কে সামনে পেয়ে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করতে বাধ্য হয় তিন্নি।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...