ম্যাডাম, ও ম্যাডাম, ঘুমিয়ে গেছেন যে, কোথায় নামবেন?

সামনে বসে থাকা ভদ্রলোকটির কথাগুলো শুনে ম্যাডাম চোখ দুটো তাড়াতাড়ি খুলে চারদিকটা একবার দেখে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কোন স্টপেজ?

চোপান, আপনি কোথায় নামবেন?

সরাইগ্রাম, দেরি আছে?

অনেক। সেই সকাল ৯টার আগে ঢুকছে না, লেটে রান করছে।

'ও' বলে ভদ্রমহিলা আবার কিছু সময় চুপ করে শুয়ে হঠাৎ উঠে বসে পড়লেন। তারপর হঠাৎই নিজের মনে দরজার কাছে এসে দাঁড়ালেন। রাত দুটো, কামরার আলো নেভানো থাকলেও মেয়েটির উলটো দিকে বসে থাকা ভদ্রলোক এতক্ষণ শুয়ে শুয়ে ভদ্রমহিলাকে দেখছিলেন। বেশ কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হচ্ছিল। একবার উঠে বসছেন, একবার শুচ্ছেন, শুয়ে শুয়ে কেঁদে উঠছেন।

উলটো দিকে বসে থাকা ভদ্রলোকের কেমন যেন সন্দেহ হল। তারপর দরজার কাছে ভদ্রমহিলা এসে দাঁড়াতেই পিছন থেকে তাকে চেপে ধরে ভিতরে ঢুকিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলেন। ভদ্রমহিলা ছটফট করলেও আর কোনও উপায় নেই। এমনিতেই ধস্তাধস্তির আওয়াজ শুনে কয়েকজন ঘুমন্ত প্যাসেঞ্জার ঘুম থেকে উঠেও পড়েছেন। ভদ্রলোক সব কিছু বলবার পরে সবাই শুনে অনেক কিছু জানবার চেষ্টা করে গেলেও, কোনও লাভ হল না।

কলকাতার আপ ট্রেন, বাঙালি যাত্রীর সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়। কিন্তু ভদ্রমহিলা সমানে চিৎকার করে যেতে লাগলেন, আমাকে ছেড়ে দাও, আমার বেঁচে থাকবার কোনও অধিকার নেই। ভদ্রলোক অনেক বুঝিয়ে শেষে হার মেনে পরের স্টেশনে এক রকম জোর করেই তার সাথে নামালেন।

আজকাল দীক্ষাকে অপর্ণার কেমন যেন অচেনা মনে হয়। যত বয়স বাড়ছে মেয়ের আদিখ্যেতা বেড়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগেই মেয়েকে একবার বলে, দ্যাখ বড়ো হচ্ছিস এখন এমন ভাবে হাফ-প্যান্ট, গেঞ্জি পরে থাকিস না। কে কার কথা শোনে! কথাগুলো এক্কেবারে ফুত্কারে উড়িয়ে দিয়ে মেয়ে বলে ওঠে, তুমি সেই গাঁইয়াই রইলে, আমার বন্ধুগুলোকে দ্যাখো, সুইম করে, হাফ-প্যান্ট পরে পড়তেও আসে।

সেদিন কথাগুলো শুনেই মাথা ঘুরছিল অপর্ণার। ওদের মাদেরকেও বলিহারি, হাফ-প্যান্ট পরে কেউ বাইরে ছেড়ে দেয়। এই জন্যেই চারদিকে এত সব ঘটনা ঘটছে। আরে বাবা তুমি যদি তৈরি করা খাবার কারও-র মুখের সামনে তুলে দাও, কে আর না খেয়ে থাকতে পারে? আমরাও তো পড়াশোনা করেছি নাকি! ছেলেদের সাথে মিশেওছি।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...