দেবযানী তাকাল শ্বেতকেতুর দিকে। বুঝতে পারল বাচ্চাদের সঙ্গে একজোট হয়ে ইচ্ছে করেই ওরা পেছনে লাগছে দেবযানীর। মায়ের হাত থেকে মোবাইলটা নিতে নিতে ছোটো ছেলে ঋক্ বলল, ‘মোবাইলটা আমাকে দাও তো, আমিই দিদাকে বলে দিচ্ছি তুমি, মামার বিয়েতে আসতে পারবে না। দিদা জিজ্ঞেস করলে বলব তুমি ভীষ্মের প্রতিজ্ঞা নিয়েছ যে তুমি আমাদের সঙ্গে কোথাও যাবে না।’

ঋকের কথা শেষ হতেই শ্বেতকেতু, ছেলের হাত থেকে মোবাইলটা নিতে নিতে বলল, ‘আরে আমি থাকতে তুই দিদাকে কথাটা বলবি সেটা ভালো দেখায় না। তার চেয়ে বরং আমিই তোর দিদাকে ভালো করে বুঝিয়ে বলে দিই যে, তোর মামার বিয়েতে উনি একাই সবদিক সামলান কারণ তাঁর আদরের মেয়ে কোথাও না-যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করে বসে আছে।’

মায়ের ফোনটা পেয়ে দেবযানীর রাগ একটু কম হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু শ্বেতকেতুদের হাসিঠাট্টায় ওর মাথাটা আবার গরম হয়ে উঠল।

সবেমাত্র সিমলা, কুলু-মানালি বেড়িয়ে এসে ওরা সবাই একঘণ্টা হল বাড়ি ঢুকেছে। বাড়িতে ঢুকেই ওদের দৌরাত্ম্য শুরু। দু’দিনের ট্রেনের ধকল সয়ে তখনও গায়ের ব্যথাও মরেনি দেবযানীর, জিনিসপত্র চারিদিকে ছড়িয়ে রেখে শ্বেতকেতু আর বাচ্চারা টিভি চালিয়ে বসে পড়েছে সোফায়।

আর শুধু বসা হলেও একরকম, জুতোগুলো দরজার মুখেই ডাঁই হয়ে পড়ে রইল। কেউ গুছিয়ে তুলে রাখার কোনও চেষ্টা করল না। উপরন্তু শ্বেতকেতুর গলা ভেসে এল, ‘দেবযানী প্লিজ এক কাপ ভালো করে চা করো তো। হোটেলের ওই বিচ্ছিরি চা খেয়ে খেয়ে মুখটা একদম মরে গেছে।’

‘মা, বাবার চা যখন করছই আমাদেরও একটু ম্যাগি বানিয়ে দাও না প্লিজ। কতদিন ম্যাগি খাইনি। ওখানে রাস্তায় ম্যাগি তৈরি করছিল, তোমরাই তো খেতে দিলে না। বলেছিলে বাড়িতে এসে বানিয়ে দেবে। মা, প্লিজ ভীষণ খিদে পেয়েছে,’ বড়ো ছেলে গৌরব নিজের ইচ্ছে প্রকাশ করল।

‘মা, আমি ম্যাগি খাব না। আমাকে ব্রেড আর অমলেট করে দাও,’ ঋক্-ও চেঁচিয়ে জানান দিতে দ্বিধা করল না।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...