শিলিগুড়ি শহরের জাঁকজমক গাঢ়-শহুরে বাতাবরণ থেকে একটু আধা-শহুরে পরিবেশে বেরিয়ে এলে, পথে পড়বে চামটা নদীর ব্রিজ, সেই ব্রিজ থেকে একটু এগিয়ে বাঁদিকে টার্ন নিলে ছোটো গাড়ি বা অন্য কোনও যানবাহন অনায়াসে মেলে। সেই পথ ধরে এগিয়ে গেলে ঘন জনবসতিপূর্ণ স্থান মাটিগাড়া। বাস, অটো, মিনিডোরে যাতায়াতের মাধ্যমে এখানকার মানুষ অতি সহজেই শিলিগুড়ির সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখে।

এই মাটিগাড়ার প্রতিরাম নামক স্থানের এক গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা প্রমোদ মৈত্র। প্রমোদবাবু তার স্ত্রী ও এক পুত্রকে নিয়ে কালু সমাদ্দারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। মাস গেলে এক-দু তারিখের মধ্যেই ভাড়ার দু’হাজার টাকাটা চকচকে লাল নোটে মিটিয়ে দিতে হয় কালুবাবুকে। না হলে মদ খেয়ে বাড়িতে ঢুকে দাঁড়কাকের মতো উচ্চকণ্ঠে তার মুখ-খিস্তি ও ভাষণ শুরু হয়ে যায়। সেইসঙ্গে ভাড়াটিয়ার ঘরের জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলতেও দ্বিধাবোধ করে না। এই কান্ড-কারখানায় পাড়ার লোক তখন বড়োই অস্বস্তিতে পড়ে। এ নিয়ে পাড়ার লোকজন প্রায়শই বলাবলি করে এই লোকটি যে কি! ওই আবার শুরু হল বোধ হয় পাগল-ছাগলের প্রলাপ!

ভোর থাকতে থাকতেই ঘুম থেকে উঠে পড়েন প্রমোদবাবু। তিনি তার রুটিন মতো ঘুম থেকে উঠে, ব্রাশ করে, প্রাতঃক্রিয়া সেরে এক ঘণ্টা সময় হাতে নিয়ে বসে পড়েন প্রাণায়াম ও আসনে। এরপর বসেন সিংহাসনে, তখন ওনার গলার আওয়াজে ঘর লাগোয়া প্রতিবেশীরা মাঝেমধ্যেই ভয়ে চমকে ওঠেন। খাটে শোয়া থাকা অবস্থায় আশপাশের অনেককেই মাঝেমধ্যেই বলতে শোনা যায়, ‘ভাড়া বাড়ির দিকের জানালাটা বন্ধ করো! সাত সকালে সিংহের গর্জনে গভীর ঘুমটা আমার ভাঙল।’ কেউ আবার কখনও বলে ‘কাল রাতে দেরি করে শুয়েছি এত তাড়াতাড়ি এখন উঠতে পারব না, জানলাটা বন্ধ করে দাও।‘ এ যেন রোজকার ব্যাপার হয়ে উঠেছে, এরকম নানা অভিযোগ সপ্তাহে তিন চারদিন বলতে গেলে কানে এসেই যায়। কিন্তু তাতে কোনও ভ্রূক্ষেপ নেই প্রমোদবাবুর। উনি ওনার পরিশ্রমকে ঠিক যথারীতিই সার্থক করে তোলেন।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...