দোকান বন্ধ করে ফিরতে ফিরতে রোজই প্রায় দশটা বেজে যায় বিমলের। ফিরে স্নান সেরে একেবারে খাবার টেবিলে। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা এই রুটিনের বড়ো একটা হেরফের হয় না। এই সময়ে বাড়ির সকলকে তিনি একসঙ্গে দেখতে চান। এটা ওনার কড়া অনুশাসন-ই হোক বা হুকুম, ওনার মতে দিনের একটা সময়ে অন্তত একত্রিত হয়ে কিছুক্ষণ সময় কাটানো, নিজেদের সুখ-দুঃখ শেয়ার করে নেওয়াটা ভীষণ জরুরি। এতে পরিবারের সঙ্গে জুড়ে থাকা যায়।

আজ খাবারের মেনু দেখেই মনটা বেশ ভালো হয়ে যায় বিমলের। তার পছন্দের নতুন গুড়ের পায়েস, তাও আবার ঠিক সেই ভাবেই বানানো, যেভাবে সে ছোটোবেলায় পছন্দ করত। ধিকি ধিকি আঁচে মরে আসা দুধে তৈরি পরমান্ন কোথাও যেন একটা মায়ের ছোঁয়া। মুখে প্রকাশ না করলেও মনে মনে বেশ অবাকই হয় বিমল। শ্রদ্ধা এতবছর ধরে চেষ্টা করেও এই ফ্লেভার আনতে পারেনি। উসখুশ শুরু করে বিমল। বাবার অবস্থা দেখে ছেলেমেয়েরা মুখে হাতচাপা দিয়ে মুচকি মুচকি হাসতে শুরু করে। চোখ এড়ায়নি বিমলেরও। শ্রদ্ধাও নেই খাবার টেবিলে। ঘিয়ের গন্ধে ঘর ম-ম করছে। বিমল ধরেই ফেলেছিল শ্রদ্ধা পরোটা ভাজছে। আর তর সইতে না পেরে টেবিলে রাখা আলুর দম চামচে করে মুখে পুরে নেয় বিমল। মুখের গ্রাস শেষ হতে না হতেই সামনে বসে থাকা ছেলেমেয়েদের প্রশ্ন করে,  ‘অদিতি এসেছে নারে?’ কথাটা শোনার সঙ্গে সঙ্গেই রান্নাঘর থেকে পরোটার প্লেট হাতে করে স্ত্রী শ্রদ্ধা ডাইনিং টেবিলের সামনে এসে দাঁড়ায়। সঙ্গে আসে বোন অদিতি, বোনের মেয়ে তানিয়া। সকলে নড়েচড়ে বসে। অদিতি দাদার সামনে এসে দাঁড়াতেই বিমল বলে ওঠে, ‘আমি ঠিক বুঝেছি। এ জিনিস তুই না হয়ে যায় না। কখন এলি? অন্তত একটা খবর তো দিতিস। আর শ্রদ্ধা তোমার-ই বা কী বুদ্ধি বলো তো, একটু জানাতে তো পারতে। ওদের জন্য কিছু নিয়ে আসতাম।’

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...