সন্তোষবাবু মিচকি হেসে মন্তব্য করলেন— আপত্তি কিছু নেই। তবে দেবব্রতবাবু, জীবনের অপরাহ্নবেলায় পুরোনো কাসুন্দি ঘেঁটে কী লাভ?

দেবব্রতবাবু উৎসাহিত হয়ে পঞ্চমুখে বন্ধুর গুণকীর্তন করতে লাগলেন। আজ থেকে বিশ বছর আগে স্বয়ং ডিএজি-র সাথে বাজি ধরে জলবিহীন আশিটা বাসি বালুসাই গলাদ্ধকরণ করা কি সোজা কথা? এখানেই শেষ নয়, তারপর এক খিলি সুগন্ধিত জর্দা দেওয়া পান, তাও ডিএজি-র পয়সায়। ইনি হলেন সেই মহাজন, যার সাথে তুলনীয় রাজা রামমোহন রায়। একটা গোটা পাঁঠার মাংস খাওয়া তাঁর কাছে এমন কিছু কঠিন কাজ ছিল না। আর দ্বিতীয়জন হলেন আধ মনই কৈলাস। আধ মন চিঁড়ে সহযোগে যিনি প্রাতরাশ করতেন। আমাদের সন্তোষবাবু হলেন তাঁদের সমগোত্রীয়। বিদেশের মাটিতে জন্ম নিলে এতদিনে তাঁর নামে স্মারক তৈরি হতো।

এরপর অর্পণের দিকে দৃষ্টিপাত করে বলেছিলেন— বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসে তুমি নিরামিষ খাচ্ছ? তাও আবার ইতিহাসস্রষ্টা এই মহান ব্যক্তির সামনে দাঁড়িয়ে? তোমার শরীর টিকবে কী করে? প্লেটে তো কিছুই নেই দেখছি!

দেবব্রতবাবু সেখান থেকে বিদায় নিতেই সন্তোষবাবুর কৌতূহলী প্রশ্ন— তোমার খাওয়া নিয়ে পরিহাস করার ব্যাপারে দু'জনকে চিনলাম৷ কিন্তু তৃতীয়জন কে?

অর্পণ বলে— সে আর কেউ নয় আপনি স্বয়ং। আমাকে পরিহাস করার প্রথম ব্যক্তি। মনে নেই আপনিই তো হাসতে হাসতে বলেছিলেন, ছোঁয়া খাও তো? নাকি তাও খাও না? এরই মধ্যে বেমালুম ভুলে গেলেন কথাটা?

সন্তোষবাবু লজ্জিত হয়ে বলেন— ছিঃ আমার কথায় তুমি কিছু মনে কোরো না। আমি না জেনে তোমায় ব্যথা দিয়েছি। যা বলেছি তা পরিহাস ছিল না। বলেছি নিছক কথাচ্ছলে। এই ব্যাপারে আমি ভীষণ লজ্জিত।

অর্পণ তাঁকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে বলে— মনে করব কেন? এগুলো তো আজকের দিনে আমার প্রাপ্য।

সন্তোষবাবু অধৈর্য হয়ে পুনরায় জিজ্ঞাসা করেন— যাক্ তোমার কথায় আমি মনে শান্তি পেলাম। তুমি তোমার স্বপ্ন প্রসঙ্গে এযাবৎ যা কিছু বলেছ প্রত্যেকটি কথা সবই অক্ষরে অক্ষরে ফলেছে। তবে আমি তোমার স্বপ্নের শেষটুকু জানতে না পারা পর্যন্ত স্বস্তি পাব না। বিষয়টা ভীষণ অদ্ভুত লাগছে আমার কাছে। আশা করি শেষটা আরও বেশি রোমাঞ্চকর হওয়া উচিত।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...