বাঙালিদের কাছে উত্তরাখণ্ডের আকর্ষণ চিরন্তন। পুণ্যকামী তীর্থযাত্রীরা যেমন পুরাণকাল থেকেই কেদারনাথ, বদ্রিনাথ, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী দর্শনে যান, তেমনই পর্বতারোহী প্রকৃতি প্রেমিকদের কাছে এই অঞ্চলের উত্তুঙ্গ গিরিশিখরের আকর্ষণ অমোঘ। পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে এখানে নানা স্বপ্ন, মায়া ও কুহকের ওঠা-পড়া। তারই আকর্ষণে বারে বারে হিমালয়ে ছুটে আসা!

অফবিট পথের সন্ধানে ছয় বন্ধু বেরিয়ে পড়লাম সেপ্টেম্বর মাসের ভোরে। কলকাতা থেকে উড়ান পথে পৌঁছে গেলাম দেরাদুন জলি গ্র্যান্ট এয়ারপোর্টে। অপেক্ষারত পূর্ব পরিচিত ড্রাইভার রাজেশ নিয়ে চলল ২৭২ কিমি দূরে যোশিমঠের উদ্দেশ্যে। একে একে আমরা সুদৃশ্য তেহেরি ড্যাম, দেবপ্রয়াগ, রুদ্রপ্রয়াগ, কর্ণপ্রয়াগ পেরিয়ে সন্ধ্যা সাতটায় পৌঁছে গেলাম যোশিমঠে। হোটেল ঠিক করেই ছুটলাম জিপ স্ট্যান্ডে পরের দিন ভোরের গাড়ি বুক করতে। সারাদিনের ক্লান্তিময় দিনের কথা ভাবতে ভাবতেই ঘুমের দেশে পাড়ি দিলাম।

ভোরে ঘুম ভাঙতেই জানলার দিকে চোখ গেল। কাচের জানলার ওপারে সারি সারি পাহাড় চুপটি করে অপেক্ষায় রয়েছে। মেঘের ঘুম না ভেঙে যায়! পাহাড়ের কোলে মেঘের ঘুম দেখতে বড়োই সুন্দর লাগে। চঞ্চল মেঘ সমস্ত দিন ধরে ছোটাছুটি করে। তাই কি সন্ধ্যাবেলায় তাদের ঘুম পায়? তারা কেমন শান্ত হয়ে পাহাড়ের গায়ে শুয়ে আছে। সমস্ত রাত্রি তারা ওই ভাবেই কাটায়। সকালবেলা সূর্যের আলো তাদের গায়ে পড়লেই ঘুম ভেঙে যায়।

সকাল সকাল যোশিমঠ ছেড়ে ঘন বার্চের আড়াল পেরোতেই মন ডানা মেলে উড়ে গেল আকাশপানে। সবুজ পাহাড়ের মাথায় সাদা মেঘের খেলা। সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে বর্ষণ ক্লান্ত মেঘেরা মেতে উঠেছে দৌড় প্রতিযোগিতায়। গাঢ় নীল আকাশের বুকে ছুটন্ত মেঘের এই ভেসে বেড়ানোর খেলায় পাহাড়ের গায়ে, উপত্যকার বুকে আলো-আঁধারির ম্যাজিক চলছে। কয়েকদিন ধরেই পাহাড়গুলো বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে সিক্ত, ক্লান্ত হয়ে উষ্ণতার অপেক্ষায়। তাদের মাথা থেকে গা বেয়ে দুধ সাদা পুরুষ্টু জলের ধারা নেমে এসেছে ধৌলিগঙ্গার বুকে।

ধৌলিগঙ্গাকে বাঁ-দিকে রেখে এগিয়ে চলেছি উত্তরের ইন্দো-চিন সীমানার কাছে ছোট্ট গ্রাম গামশালির উদ্দেশে। দূরত্ব ৮৪ কিমি। লতা, কাগা, দ্রোনাগিরি, তপোবন, মালারি, বাম্পা, তারপর গামশালি। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার পথ। হাজার হাজার পুণ্যার্থী বদ্রিনাথ দর্শনে গেলেও অতি উৎসাহী ভ্রমণার্থী ছাড়া এখানে কেউ আসে না। অথচ অপরূপ, নৈস্বর্গিক, নিষ্কলুষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই গ্রাম, এই পথ। এই পথের শেষ বর্ধিষ্ণু গ্রাম তপোবন। গাড়ি হোক বা মানুষ এখানেই ভরে নিতে হবে জ্বালানি। দূরত্ব ৪০কিমি। এখানে রয়েছে একটি উষ্ণ প্রস্রবণ। ভবিষ্য বিষ্ণুর মন্দির। ধৌলিগঙ্গার কোলে এই মন্দিরের অবস্থান নৈঃস্বর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...