মাইসোর থেকে গুন্ডুলপেট, মুনসাঙ্গা হয়ে ওয়েনাড যাওয়াটাই সুবিধাজনক গাড়িতে গেলে। গুন্ডুলপেট থেকে একটি রাস্তা গেছে উটির দিকে, অন্যটি ওয়েনাড। ঘন সাল জঙ্গলের বুক চিরে রাস্তা। এই সফর সারাজীবন মনে থাকার মতো। এখানেই ওয়েনাড ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারির প্রবেশদ্বার। পথে যেতে যেতে হঠাৎই গাড়ি থামাতে হবে হরিণের ঝাঁক দেখে– কিংবা পথ ছেড়ে দিতে হবে গজেন্দ্রগমনে চলা হাতির দলকে।

ওয়েনাড-এ থাকার ব্যবস্থা ‘ভইথিরি মেডো’ হোমস্টে। সুন্দর সাজানো কটেজে ১০টি স্বতন্ত্র ভিলা। এখানে থাকলে চারপাশের নিসর্গ দেখে মুগ্ধ হয়ে যাবেন। চারপাশে সবুজ পাহাড়ের ঢেউ আর কাবিনি নদীর একটি শাখাকে বেড় দিয়ে উঠে আসা অরণ্যপথ। ফ্রেশ হয়েই বেরিয়ে পড়ুন লাক্বিডি পয়েন্ট-এর উদ্দেশে। ওয়েনাড-এর উচ্চতম বিন্দু। ওয়েনাডের এই স্থানটি পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বাধিক বর্ষণপ্রবণ অঞ্চল। ওই দিনই ঘুরে নিন পুকুট লেক। প্যাডেল বোটে এক মনোরম জল-সফর।

পরের দিন গোটাটাই বরাদ্দ রাখুন ওয়েনাড-এর নানা বিউটিস্পট ঘুরে দেখতে। তালিকায় অবশ্যই রাখুন বালাসুর সাগর। এটি কাবিনি নদীর একটি বাঁধ। বিশাল হ্রদটিকে ঘিরে রেখেছে নীল পাহাড়ের সারি। তার উপর এদিক ওদিক ঝুলে থাকা মেঘ, অদ্ভুত রহস্যে মুড়ে রেখেছে পাহাড়গুলিকে। একদিকে বানাসুর পিক, অন্যদিকে চেমব্রা পিক। চেমব্রা পিক-এ ট্রেকিং করে পৌঁছোনো যায় হার্ট শেপ-এর একটি স্বর্গীয় হ্রদের কোলে।

এরপর একগুচ্ছ জলপ্রপাতের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে নিন। প্রথমেই সূচিপুরা ওয়াটারফল। গাড়ি থেকে নেমে চ্ কিমি হাঁটলেই এক আরণ্যক পরিবেশে দেখা মিলবে ঝরনার। ভইথিরি থেকে ৩০ কিমি দূরত্ব এই ঝরনার। মন ভরিয়ে দেবে জায়গাটা। এরপর চলুন কন্থনপারা ওয়াটার ফল্স দেখতে। পাথুরে ল্যান্ডস্কেপ আর নির্জন পরিবেশ অচিরেই মন কেড়ে নেবে।

প্ল্যান রাখুন পরদিনটা অবশ্যই কুরুভা দ্বীপ ভ্রমণের জন্য। বাঁশের ভেলায় ভেসে পড়ুন। চারপাশে জলে ঘেরা একফালি ভূমি নিয়েই কুরুভা দ্বীপ। পাথুরে ল্যান্ডস্কেপ আর জঙ্গলের ব্যাকড্রপে এক ছবির মতো স্পট পাখির কলকাকলিতে মুখর। সারাদিন কাটিয়ে আবার রাতের আস্তানা ওয়েনাড-এ ফেরা।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...