এ এক হঠাৎ-সফর। হুট করে বেরিয়ে পড়া। দিল্লিস্থিত এক বন্ধুর সঙ্গে প্রায় বিনা প্ল্যানে রওনা দিয়েছিলাম গাড়িতে। গন্তব্য হূষিকেশ। ঠিক হল হূষিকেশ পৌঁছে ঠিক করা হবে গন্তব্য। বরাবরই আমাদের কাছে জার্নিটাই উদ্দেশ্য ছিল, লক্ষ্যটা বিধেয়। তাই কোথাও পৌঁছোনোর তেমন তাড়া ছিল না। হালকা কিছু শীত-পোশাক সম্বল করে হূষিকেশ-এ যখন পৌঁছোলাম তখন সন্ধ্যা।

হোটেলের ঘরে বসে প্ল্যান ছকে ফেলা হল। আমাদের যাত্রাপথ হবে হূষিকেশ-শিবপুরি-ব্যাসি-দেবপ্রয়াগ-শ্রীনগর-রুদ্রপ্রয়াগ-কনকচৌরি হয়ে কার্তিকস্বামী মন্দির। সেইমতো ঠিক ৬-টায় রওনা হল আমাদের অল্টো। থামল গিয়ে সোজা দেবপ্রয়াগ। অলকানন্দা ও ভাগীরথীর সঙ্গমের সৌন্দর্য দেখতে দেখতে চটজলদি কিছু খেয়ে নিয়ে আবার গাড়ি ছুটল। মাঝে মধ্যেই অবশ্য না থেমে পারছিলাম না, প্রকৃতির অপূর্ব নিসর্গ দেখে।

কনকচৌরি পৌঁছোলাম বেলা ১২টা নাগাদ। এই জায়গা থেকেই গাড়িকে বিশ্রাম দিয়ে শুরু হবে লেগ-ওয়ার্ক। হাঁটা পথে পৌঁছোতে হয় কার্তিকস্বামী মন্দির। যেদিকে তাকাই সবুজের প্লাবন আর তার ব্যাকড্রপে তুষার শুভ্র হিমালয়। চৌখাম্বার প্রতিস্পর্ধী রূপ।

একটি চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে জানলাম পাহাড়ের নীচে একটি রিসর্ট আছে থাকার জন্য। একটু ব্যয়বহুল। মন্দিরে থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই, তবে মন্দিরের পূজারির ঘরে বিশেষ অনুরোধে থাকার সুযোগ মিলতে পারে। দুটি কম্বলও তিনি দেন। তবে খাবার ব্যাপারটা অনিশ্চিত।

এটুকু খবর সম্বল করে আমাদের ৩ কিমি ট্রেক শুরু হল। চোখ জুড়োনো বুগিয়াল আর ব্যাকগ্রাউন্ডে চৌখাম্বা, কেদারনাথ, জাহ্নুকূট পর্বত শৃঙ্গগুলির অস্পষ্টরেখা দেখতে দেখতে উঠতে লাগলাম উপরে। খানিকটা পথ ঘন জঙ্গলে ঢাকা। শুনেছিলাম লেপার্ড, ভাল্লুক, বন্যশূকর এ পথে বিরল নয়। প্রায় ঘন্টা দুই হাঁটার পর দেখা মিলল মন্দিরের, আর তার থেকে ৫০০ মিটার নীচেই একটি চালাঘর। সম্ভবত ওটাই পূজারির থাকার ঘর।

পূজারির সঙ্গে আলাপ হয়ে বেশ ভালো লাগল। লোভ সংবরণ করতে পারলাম না শুনে যে, ভোরবেলায় আকাশ যখন পরিষ্কার থাকে তখন নাকি নন্দাদেবী, কেদার, বদ্রি, চৌখাম্বা, জাহ্নকূট এমনকী চন্দ্রশিলা শৈলও দেখা যায় উপর থেকে। সে এক স্বর্গীয় রূপ।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...