একটা ‘হ-য-ব-র-ল’ পাকিয়ে দিনটা শুরু। আপ মজফ্ফরপুর ফার্স্ট প্যাসেঞ্জারে টিকিট। উঠব ব্যান্ডেল জংশন থেকে। অনেক আগে থেকেই অপেক্ষা করছি। লেট না খাইয়ে ট্রেনটা প্ল্যাটফর্মে ইন করল। কিন্তু এমাথা-ওমাথা ছুটোছুটি করেও, সংরক্ষিত কামরার অস্তিত্বই পেলাম না। পিছোতে বলে কেউ, তো অন্যরা সামনে। যাক, সামনে চলে এসে পিছোতে যাব, ট্রেন ছেড়ে দিল। নিখুদাকে বললাম, বুদ্ধি খাটাও এতগুলো লোক ছুটোছুটি করব যশিডি পর্যন্ত। আউট না দেওয়া আম্পায়ারের মতো নিখুদা দাঁড়িয়ে রইল। কী মনে হল আমার, রুকস্যাকের সাইড পকেট থেকে টিকিটটা বার করে ঝাঁপিয়ে পড়লাম। ওই কামরাতেই সিট মিলিয়ে-মিলিয়ে জায়গা করে নিলাম। কোনও ক্ষেত্রে লোকজনদের তুলে আবার কোনও-কোনও ক্ষেত্রে সাইড করে। তারা তো বুঝতেই পারছে না, কোথা থেকে এই কামরা রিজার্ভ হল? খুব খারাপ লাগছিল ছলনার আশ্রয় নিয়ে এভাবে জায়গা দখল। এই হয়রানির জন্য কি অভিযোগের আঙুল তোলা যায় না, ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতার প্রতি?

যশিডিতে ট্রেন থেকে নেমে মনের খচখচানিটা দূর হল। বারবেলা পার না করে ফুড প্লাজায় ঢুকে পড়লাম। তারপর নিখুদা’র সঙ্গে দুটো অটোওয়ালার কি অর্থচুক্তি স্বাক্ষরিত হল বলতে পারব না, তবে কালকের লোকাল সাইট সিয়িং-এর ব্যাপারটা নিশ্চিত হল।

দেওঘরের ল্যান্ডমার্ক ক্লকটাওয়ার। হোটেলের অবস্থান তার আশেপাশেই। আমরা বাজারের হৈ-হট্টগোল এড়াতে টাওয়ার চকের আগেই হোটেল নিলাম। একটু ফ্রেশ হয়েই চক্বর কাটলাম প্যাঁড়া গলি দিয়ে। ধাক্বাধাক্বি হয়েও গেল কলকাতা বাবু-বিবিদের সঙ্গে।

আলো ফুটতেই হাজির মন্দিরে। যাঁর নামে খ্যাত এই শহর সেই বৈদ্যনাথ শিবের মন্দির ও সংলগ্ন চত্বরটি বিশাল। এই সাত-সকালেই পুণ্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়ছে। পান্ডার সাহায্য ছাড়া এখানে পুজো দেওয়া অসম্ভব। তুলনামূলক বয়স্ক এবং অর্থের চাহিদা কম এমন একজন পান্ডাকে সন্ধান করে বার করা হল। কিন্তু মন্দির চত্বরে বসে পুজোপর্ব ও মন্দির অভ্যন্তরে বিগ্রহ দর্শন সব মিলিয়ে– তিনি যা দাবি করলেন, তা শুনে আমাদের চক্ষু চড়কগাছ। ধর্মের নামে এই অর্থদণ্ড দিতে আমরা নারাজ। তবে তিরুপতি মন্দিরের কথা ভাবলে, এই অর্থদণ্ড যৎসামান্যই বলা যায়।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...