আমাদের অনেকেরই বিদেশে ঘুরে বেড়ানোর শখ আছে। অনেকেরই শখ আছে বরফের ঘরে রাত কাটানোর বা আরামদায়ক বিছানায় শুয়ে আকাশের তারা খসা বা তুষারপাত দেখা। এরকম ইচ্ছে থাকলে আপনাদের সে ইচ্ছেও পূরণ হয়ে যাবে। কারণ আমাদের এই পৃথিবীতে এমন কিছু হোটেল আছে যা আপনার মনের ইচ্ছে পূরণ করতে পারবে। সেরকম কয়েকটি হোটেলের সন্ধান রইল এখানে। আজ চতুর্থ পর্ব।
হেভেনলি হল্যান্ড : নেদারল্যান্ডসের প্রথম আইস হোটেল এটি। সে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর জৌলে দেশের প্রথম বরফের হোটেল তৈরি করা হয়েছে। বরফের ভাস্কর্য তৈরির একটি উৎসবের অংশ হিসেবে হিমায়িত এক গুদামের ভেতর তৈরি হয়েছে তিন কক্ষ বিশিষ্ট এই হোটেলটি। শুধু নেদারল্যান্ডস নয় ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলে বরফের হোটেল এটাই প্রথম। বিছানা, ছোটো আকারের পানশালা, স্নানের পর পরার পোশাক, দুই জোড়া স্যান্ডেল-সহ টুকিটাকি সব ব্যবস্থাই আছে এই ছোট্ট হোটেলটিতে। কিন্তু আর-দশটা হোটেলের সঙ্গে এর পার্থক্য কেবল ভেতরের আবহাওয়ায়। ভেতরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডায় কারও হাড়ে কাঁপন ধরে যেতে পারে। কারণ হোটেলটি বরফের তৈরি। তবে এর ভেতরের তাপমাত্রা অবশ্যই শূন্য ডিগ্রির কিছুটা ওপরে।
অন্যদিকে সুইডেনে কয়েক বছর আগে ৪৭ কক্ষের একটি বরফের হোটেল তৈরি করা হয়। কিন্তু সুযোগসুবিধার দিক দিয়ে সেই হোটেলটি অনেক পিছিয়ে জানা গেছে, নেদারল্যান্ডসের হোটেলটির তাপমাত্রাই শুধু কৃত্রিম ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। দর্শনার্থীর সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে তাপমাত্রা ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করানো হয়। স্থানীয় একটি হোটেল এর তত্ত্বাবধানের দাযিত্বে রয়েছে। প্রায় এক মিটার পুরু বরফ কেটে হোটেলের কক্ষগুলোর দেয়াল তৈরি করা হয়েছে।
বিশালাকৃতির একটি শঙ্খ রেখে একটি কক্ষের পরিবেশে সামুদ্রিক আবহ তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। দরজায় ভারী পর্দা ঝুলিয়ে আড়াল তৈরি হয়েছে। তবে এই রুমটির সবচেয়ে বড়ো আকর্ষণ হচ্ছে গোলাপি, নীল ও সবুজ আলোয় আলোকিত একটি বিছানা। বরফ কেটে তৈরি বিছানার ভেতরে আলোগুলো স্থাপন করা হয়েছে। এখানে থাকতে হলে ঘুমোনোর আগে আপনি স্নান করতে পারবেন না। কারণ চুল ভেজা থাকলে সেগুলো বরফ হয়ে যাবে। পেটভরে খাওয়াও যাবে না। রুমে ঢোকার আগেই কাপড় বদলে নিতে হবে।