একঘেয়ে জীবনে একটু ছুটির আমেজ আনতে বেরিয়ে পড়ুন ৷বেড়াতে গিয়ে বহু নতুন জিনিস আবিষ্কারের মজা উপভোগ করুন৷ খুব দূরে নয়, এমন দুটি অপূর্ব ডেস্টিনেশনে নিয়ে যাচ্ছি আমরা৷ সঙ্গে চলুন৷
গৌড়-এর গৌরবের খোঁজে
ঐতিহাসিক গৌড় শহর একসময় বাংলার রাজধানী ছিল। ইংলিশবাজার এলাকায়, এই রাজধানীর ধ্বংসাবশেষ এখনও রয়েছে। ফিরোজ মিনার, চামচিকা মসজিদ, বারোদুয়ারি প্রভতি নানা ঐতিহাসিক স্থান চাক্ষুস করলে মনে হবে, ইতিহাসের একটা ফেলে আসা সময়ে পৌঁছে গেছেন।
আমবাগানের জন্য বিখ্যাত মালদা জেলার এই সমৃদ্ধশালী অঞ্চল। জেলার দুটি উল্লেখযোগ্য স্পট হল আদিনা ও পান্ডুয়া। ইংলিশবাজারের উত্তর প্রান্তে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশেই পান্ডুয়া। অদূরেই আদিনা মসজিদ ও বনাঞ্চল। আদিবাসি গ্রাম ও জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ পান পর্যটকরা। হরিণ, নীলগাই, নানা পরিযায়ী পাখির আবাস এই আদিনা ফরেস্ট।
সেগুন, শিশু, আকাশমণি, নিম প্রভতি গাছে ঘেরা এই বনস্থলিতে দুটি পরিখাও আছে। পুকুড়পাড়ে ছোটোদের বিনোদনের জন্য রয়েছে দোলনা। গৌড় শহর জুড়েই বহু ঐতিহাসিক সৌদ্ধ রয়েছে। গাড়ি ভাড়া করে নিলে একদিনেই জায়গাগুলি ঘুরে নেওয়া যাবে। ইংলিশবাজার এলাকা থেকে ঐতিহাসিক স্থানগুলির দূরত্ব প্রায় ১২ থেকে ১৫ কিলোমিটার। ছোট্ট ছুটি কাটানোর জন্য গৌড় এক অসাধারণ ভ্রমণকেন্দ্র হতে পারে।
কীভাবে যাবেন : গৌড় এক্সপ্রেস সহ বিভিন্ন ট্রেনে মালদা টাউন স্টেশনে নামা যায়। এছাড়া কলকাতা থেকে সরকারি ও বেসরকারি বাসেও যাওয়া যাবে।
কোথায় থাকবেন : প্রচুর বেসরকারি হোটেল আছে। এছাড়া সরকারি টুরিস্ট লজের বুকিং করা যাবে www.westbengaltourism.gov.in-এ অনলাইন।
সপ্তাহান্তে সাহিবগঞ্জ
সাহিবগঞ্জ : ঝাড়খণ্ডের উত্তরপ্রান্তের শেষ জেলা এই সাহিবগঞ্জ। রাঁচি শহর থেকে দূরত্ব প্রায় ৪২০ কিলোমিটার। কিন্তু সপ্তাহশেষের ছুটি কাটানোর পক্ষে একটি আদর্শ জায়গা। পঞ্চম শতাব্দীতে বৌদ্ধ শ্রমণরা জায়গাটিতে বসবাস করতেন। বর্তমানে এটি অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী এক শহর। টিলা পাহাড়, লেক, নদী দিয়ে ঘেরা এক অজানা উইক এন্ড ডেস্টিনেশন।
বস্তুত রাজমহল পাহাড়ের বেশির ভাগটাই এই অঞ্চলকে ঘিরে রেখেছে। বর্ষায় তাই সবুজে ঢেকে যায় এই অঞ্চল। গঙ্গা নদীটি এই সাহিবগঞ্জের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে। ফলে বেশ কিছু ঘাটে অপূর্ব সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মুহূর্ত ধরা দেবে আপনার ক্যামেরায়।