ভালো লাগার কোনও কারণ হয় না ৷ কেউ পাহাড় ভালোবাসে , কেউ সমুদ্র৷ কেউ আবার ঘরের কাছে ছোট্ট ভ্রমণেই খুশি৷ তবে ঘোরা মানেই কিন্তু দিঘা, মুকুটমণিপুর, মন্দারমণি নয়৷উইকএন্ড কাটানোর আরও জায়গা আছে৷। ঘোরার জন্য দরকার ইচ্ছে এবং কিছু অর্থ ।তাহলেই সপ্তাহ-শেষের সফরে মানে Weekend Trip-এর দৌলতে আপনি Rejuvenated হয়ে উঠতে পারবেন৷আমরা আজ দুটি স্পট-এর কথা বলব যেখানে চট করে পৌঁছে যাওয়া যায়৷ রইল হদিশ৷
ভালকিমাচান - যমুনাদিঘি
পা বাড়ালেই যমুনাদিঘি। সপ্তাহ শেষের ছোট্ট ছুটি কাটাতে একেবারে আদর্শ ঠিকানা। প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার সুযোগ মেলে যমুনাদিঘি এলে। হাওড়া থেকে রামপুরহাট বা মালদাগামী ট্রেনে গুসকরা স্টেশনে নেমে, গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছোনো যায় যমুনাদিঘি। কলকাতা থেকে সরাসরি বর্ধমানগামী দিল্লি রোড ধরে আড়াই ঘন্টার ড্রাইভেও পৌঁছোতে পারেন। থাকার আদর্শ ঠাঁই আম্রপালি টুরিস্ট লজ। ফোন - ২৩৩৭৬৪৭০। অথবা ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ফিশারিজ-এর ওয়েবসাইট থেকেও পেয়ে যাবেন বুকিং৷
প্রায় এক ডজন ভেড়ি নিয়ে তৈরি যমুনাদিঘি, ভারি নির্জন এক ঠাঁই। ভেড়ির ধার ঘেঁষে আমবাগানের মাঝখান দিয়ে মেঠো পথ গিয়েছে। ফ্রেশ অক্সিজেন নিতে আর পাখপাখালি দেখতে অনেকেই পাড়ি জমান এখানে। মৎস দফতরের অধীনস্থ এই ভেড়ি থেকে মাছ ধরা দেখাও বেশ সুন্দর এক অভিজ্ঞতা। একরাত এখানে থেকে পরদিন ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়ে পড়ুন ভালকিমাচান-এর উদ্দেশে।
শাল জঙ্গলের মাঝে প্রকৃতিকে যেন মুঠোয় ধরে রেখেছে ভালকিমাচান। ছায়াঘেরা একটি পুষ্করিণীর ধারে থাকার জায়গা অরণ্যসুন্দরী গেস্ট হাউস। আউসগ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ এই অতিথিশালায় একরাত কাটিয়ে দিন। একসময় বর্ধমানের রাজাদের মৃগয়াভূমি ছিল এই ভালকি। জঙ্গলের মধ্যে এখনও রয়ে গেছে মাচান বা একটি টাওয়ারের ভগ্নাবশেষ। এই টাওয়ারের নীচ দিয়েই একসময় সুড়ঙ্গপথে বর্ধমানের রাজবাড়ি অবধি যাওয়া যেত।
অরণ্যসুন্দরীতে থাকতে হলে যোগাযোগ করুন ০৩৪৫২-২১২০৫৬ নম্বরে।
রক্তকরবী কারুগ্রাম
চেনা জায়গার বাইরে আরও একটি উইকএন্ড মাস্ট ডেস্টিনেশন, রক্তকরবী কারুগ্রাম। বোলপুর স্টেশন থেকে ১০ কিমি দূরত্বে রূপপুর গ্রামে, গড়ে উঠেছে এই ইকোফ্রেন্ডলি রিসর্ট। ক্লান্ত মন, পরিশ্রান্ত শরীরকে রিজুভিনেট করার এক আইডিয়াল স্পট।