আমি যে ছেলেটিকে বিয়ে করতে চাই সে অসামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলেও তার আকর্ষণ অপ্রতিরোধ্য। তাকে আমি বিয়ে করতে চাইলেও আমার বাড়ির লোকেরা কেউ এই বিয়েতে মত দিচ্ছেন না।

এমন একজনকে ভালোবাসি, যে ‘পাড়ার দাদা’ হিসাবে পরিচিত। মারামারি, চুরি, ড্রাগ ব্যাবসার মতো অসামাজিক কাজে জড়িত। হাজতবাসও করতে হয়েছে বেশ কয়েকদিন। তবে অত্যন্ত হ্যান্ডসাম। যাকে বলে একেবারে টল, ডার্ক অ্যান্ড হ্যান্ডসাম, যেটা আমাকে ভীষণভাবে আকৃষ্ট করে। অন্ধকার জগতের সঙ্গে যোগাযোগ থাকা সত্ত্বেও ওর চরিত্রে এমন একটা অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ আছে যা এড়ানো কঠিন। এখন আমার বয়স ২৩। চার বছর ধরে ওকে ভালোবাসি। তবে গতবছরই ও সাড়া দিয়েছে। এখন আমরা পরস্পরকে গভীরভাবে ভালোবাসি। মাঝে ও শারীরিক সম্পর্কের কথা বললেও, বিয়ের আগে তা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছি আমি। তাই ও চায়, বিয়েটা দ্রুত সেরে নিতে। কিন্তু বাড়ির লোক এই বিয়ে মানতে একেবারেই রাজি নন। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান আমি। ওরা চান আমি যেন ওকে ভুলে যাই। আমি ওকে খুব ভালোবাসি। আমার বিশ্বাস, বিয়ের পর সব বদভ্যাস ও ছেড়ে দেবে। আপনি কি আমার সঙ্গে একমত?

 মিরাকেল ঘটতেই পারে। তবে মিরাকেলের আশায় বসে থাকাটা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আপনার ভালোবাসার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে নানান বেআইনি কাজের সঙ্গে জড়িত। আপনি বিয়ের আগে যৌনসম্পর্ক স্থাপন করবেন না জানানোর পরই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে এক্ষেত্রে। ভালোবাসার চেয়ে শারীরিক চাহিদাই প্রাধান্য পেয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর যৌনচাহিদা মিটে গেলে সম্পর্কটা ডিভোর্সের দিকে এগোবে কিনা তার গ্যারান্টি কে দেবে? এমন একজন মানুষ আপনার কথাতে বদলে যাবে তারই বা গ্যারান্টি কোথায়?

আপনিও শরীরী আকর্ষণে একজন ক্রিমিনালের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন। বিয়ের পর দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যেতেই পারে। যৌন সংসর্গের সময় চোখে চোখ রাখবেন, ওর ক্রিমিনাল ছবিটাই আপনার মনে ভেসে উঠবে। তখন আপনিই আক্ষেপ করবেন। তাই বাবা-মায়ের কথা মেনে নিয়ে সম্পর্কটা থেকে বেরিয়ে আসুন, কয়েকটা দিন বাইরে কোথাও সপরিবারে বেড়িয়ে কাটান দেখবেন মনের পরিবর্তন হয়েছে।

 

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...