মিষ্টি দিয়ে শুরু হোক আপনার আসন্ন দোল উৎসব। কলকাতার পাড়ার দোকানে অবশ্য এই মিষ্টি খুঁজে লাভ নেই তাই সময় থাকতে অতিথিকে কিছু নতুন পরিবেশন করতে বাড়িতেই তৈরি করুন অতিথি আপ্যায়নের জন্য Special sweet ঘেভার। হলফ করে বলতে পারি সকলে আপনার প্রশংসা তো করবেই, পাওনা লাভ হবে সকলে আপনার কাছ থেকে বানাবার পদ্ধতিও জানার আগ্রহ প্রকাশ করবেই। বাঙালি বা অবাঙালি সকলেই মিষ্টির ভক্ত। বিশেষ করে ভারতীয় সংস্কৃতিতে অতিথিকে মিষ্টি মুখ না করিয়ে ছেড়ে দেওয়ার রীতি নেই। বিশেষ করে উৎসব অনুষ্ঠানে বাড়িতে অতিথি সমাগম হবেই আর য়েখানে দোল খেলার উৎসব চলছে সেখানে একা কেউ রং খেলে না। কয়েকটি পরিবার এসে মিলিত হয়ে রং ও আবির খেলা চলে। খেলা শেষে খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে থাকে অতিথিকে মিষ্টিমুখ করানোরও রেওয়াজ। তাই এবার বাড়ির বাইরে থেকে মিষ্টি না কিনে সময় থাকতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন একটু Special এই শুকনো মিষ্টি যা বেশ কিছুদিন রেখেও আপনি অতিথি সৎকারের কাজে লাগাতে পারবেন।

ঘেভার

এটি রাজস্থানের মিষ্টি। বাঙালিদের মধ্যেও এটির জনপ্রিয়তা এখন বাড়ছে। স্বাদে অতুলনীয়। এটি স্টোর করেও অনেকদিন রাখা যায়। বানাবার পদ্ধতি খুবই সহজ, কিন্তু কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করার প্রয়োজন পড়ে।

উপকরণ –

১/২ কাপ ঘি, ১/২ কাপ ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা ফুল ক্রিম দুধ, ১/২ কাপ বরফগলা জল (প্রয়োজনে বেশিও লাগতে পারে), ১ কাপ ময়দা, ১ টেবিল চামচ বেসন, ১ চা চামচ এলাচ পাউডার, ১ চিমটে কেসর, সাজাবার জন্য বাদাম কুচি করা (আমন্ড, কাজু, পেস্তা), হলুদ ফুড কালার অপশনাল, ঘি বা তেল ডিপ ফ্রাই করার জন্য।

চিনির সিরাপ

দেড় কাপ চিনি, ১ কাপ জল, ১ চিমটে কেসর।

প্রণালী –

চিনির সিরাপ – একটি পাত্রে চিনি, জল ও কেসর একসঙ্গে মিশিয়ে ফুটতে দিন। 4-5 মিনিট পর আঙুলে রসটি পরখ করে দেখুন 1 তারের হয়েছে কিনা। হয়ে গেলে নামিয়ে সরিয়ে রাখুন।

ঘেভার – একটি বড়ো পাত্রে ১/২ কাপ ঘি, ১ টেবিল চামচ ঠান্ডা দুধ এবং ১ টেবিল চামচ বরফগলা জল দিন। দুধ, জল, ময়দা একবারে মেশাবেন না। অল্প অল্প করে মেশাতে হবে। ঘি, দুধ ও জলের সঙ্গে ভালো করে ফেটিয়ে ক্রিমি টেক্সচার আনতে হবে। এর সঙ্গে প্রথমে অর্ধেক ময়দা ও বেসন মিশিয়ে ফেটিয়ে নিন। এলাচ পাউডারটা এই পর্যায়ে মিশিয়ে দিন। বাকি ময়দাটা এরপর মেশান। প্রয়োজনমতো জল ও দুধ মেশাতে থাকবেন। কেসরটাও একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। পুরো ব্যাটারটা পাতলা হবে যাতে সহজে হাতা থেকে পড়ে, হাতায় লেগে না থাকে। চাইলে হলুদ রং-ও মেশাতে পারেন ব্যাটারে। এবার একটা কানা উঁচু ডেকচিতে অর্ধেকটা ভর্তি অবধি তেল বা ঘি ঢালুন। তেল খুব গরম হতে হবে। এবার হাতায় করে ময়দার ব্যাটার-টা থেকে অল্প অল্প নিয়ে ডেকচির মধ্যে ঢালতে হবে, তবে খুব সাবধানে। এই পর্যায়ে তেল উপচে পড়ার ভয় থাকে। ফেনা ফেনা হয়ে সারা তেলে ব্যাটারটা ছড়িয়ে যাবে। একটু অপেক্ষা করে আবার হাতায় করে মিশ্রণটি ঠিক মধ্যেখানে ঢালুন। একটি লম্বা কাঠির সাহায্যে মধ্যেখান থেকে ব্যাটারটা পাশে সরিয়ে দিতে থাকবেন যাতে মধ্যেখানটা একটা খালি গোল জায়গার সৃষ্টি হয়। এইভাবে সাত-আট হাতা ব্যাটার ডেকচিতে ঢালতে হবে। এটা সম্পূর্ণ নিজের ইচ্ছেমতন, যতটা মোটা ঘেভার আপনি চান। দেখবেন ডেকচির পাশ থেকে ঘেভারটা ছেড়ে আসছে। হাতায় করে একটু চাপ দিয়ে পুরো ঘেভারটা তেলে ডুবিয়ে আর একটু ভেজে নেবেন যাতে উপরের অংশও ভালো করে ভাজা হয়ে যায়। এবার খুব সাবধানে মধ্যের গর্তটায় একটা কাঠি ঢুকিয়ে ঘেভারটা ডেকচি থেকে তুলে একটি বড়ো প্লেটের উপর বাটি বসিয়ে ঘেভারটা রাখুন। ঘেভারের গায়ে লেগে থাকা অতিরিক্ত তেলটা প্লেটে পড়ে যাবে। এভাবে ঘেভারগুলো বানিয়ে একসঙ্গে একটার উপর একটা রেখে উপর থেকে চিনির সিরাপটা হালকা গরম অবস্থায় ঢেলে দিন। বাদামকুচি গুলো সাজিয়ে রাবড়ি সহযোগে পরিবেশন করুন ঘেভার।

 

 

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...