আধুনিক জীবনে দূষণের প্রভাব কোনও ভাবেই এড়িয়ে চলা সম্ভব নয়। বয়স এবং দূষণ— এই দুটি বিষয় আমাদের ত্বকের উপর কুপ্রভাব ফেলে সবচেয়ে বেশি। তাই, স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলা শুরু করুন যাতে আপনার সৌন্দর্যে যোগ হয় এক আলাদা লাবণ্য এবং ঔজ্জ্বল্য।
এক্সফলিয়েট করুন: যদি আপনার ত্বকে ব্ল্যাক বা হোয়াইট হেডস বেশি চোখে পড়ে অথবা ত্বকের মৃত কোশের কারণে মুখশ্রী নিস্তেজ হয়ে আসছে মনে হয়, তাহলে এই পরিস্থিতি এড়াতে নিয়মিত ত্বক এক্সফলিয়েট করা একান্ত জরুরি। এর জন্য স্ক্রাব ব্যবহার করা যেতে পারে অথবা বাড়িতে নিজেই এক্সফলিয়েটর বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
এটি তৈরি করতে আপনাদের কিছু হাইড্রেটিং এবং ময়েশ্চারাইজিং উপাদান ও কিছু স্ক্রাব করার ইনগ্রিডিয়েন্টস-এর প্রয়োজন হবে। সপ্তাহে অন্তত দুবার স্ক্রাব করলেই যথেষ্ট। এর থেকে বেশিবার স্ক্রাব করলে ত্বকের ন্যাচারাল অয়েল কমে যাওয়ার ভয় থাকবে— যার ফলে ত্বক রুক্ষ এবং ড্রাই হয়ে যেতে পারে।
দাগছোপ থেকে ত্বককে মুক্ত রাখুন: যদি ত্বকে খুব বেশি ডার্ক স্পটস নজরে আসে এবং এটি আপনার মধ্যে নিরাপত্তাহীনতার মনোভাব সৃষ্টি করে তাহলে সেটা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না। স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করে হ্যালুরনিক অ্যাসিড অথবা রেটিনল অ্যাসিড-এর মতো উপাদান প্রয়োগ করে দাগছোপ থেকে মুক্ত রাখতে পারেন ত্বককে।
যদি মনে করেন ত্বকের ধরন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন এসেন্সিয়াল অয়েল। অ্যান্টিস্পট ময়েশ্চারাইজার বাছুন যা দেবে আপনাকে লাইটনিং ট্রিটমেন্ট। যদি সারাদিনে ২বার এই ধরনের সিরাম ব্যবহার করেন তাহলে খুব শিগগির হাতেনাতে ভালো ফল পাবেন।
স্কিন সাইক্লিং: সারা সপ্তাহ বাড়ি অফিসের কাজ করতে করতে ত্বক প্রচণ্ড ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুতরাং ত্বক রিজুভিনেট করতে স্কিন সাইক্লিং মেনে চলা উচিত। সপ্তাহে ৪দিন এই রুটিন আপনি মেনে চলতে পারেন যার পরে ত্বক সম্পূর্ণ সেরে উঠবে। এই রুটিনে প্রথম রাতে ত্বক এক্সফলিয়েট করতে হবে। এর জন্য কেমিক্যাল এক্সফলিয়েট ব্যবহার করা যেতে পারে। দ্বিতীয় দিনে রেটিনল-যুক্ত প্রোডাক্ট ত্বকে প্রয়োগ করতে হবে।