আজকাল বাঙালি কন্যারাও বিয়ের সময় মেহেন্দি পরতে ভালোবাসে। নববধূর হাতদুটিকে আরও আকষর্ণীয় করে তুলতে এখানে দেওয়া হল মেহেন্দি ডিজাইন্স।
বিয়ের দিন আসন্ন, এদিকে কনের হাতে মেহেন্দি নেই– এ যেন হতেই পারে না। বিউটি পার্লারে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করেই হোক বা কোনও বান্ধবীর সাহায্যে, বাঙালি মেয়েরাও এখন হাতে মেহেন্দি পরাটা ট্র্যাডিশন-এর অঙ্গ করে নিয়েছেন। এখানে কিছু মেহেন্দির প্যাটার্ন দেওয়া হল তাদের সুবিধার জন্য।
ট্র্যাডিশনাল মেহেন্দি
বাজারে পাওয়া যায় মেহেন্দি কোণ। সেগুলি কিনে রাখুন হাতে নকশা আঁকার জন্য। ডিজাইন করার সময় কিছু ট্র্যাডিশনাল মোটিফ করা হয় এই প্যাটার্নে। মোটিফগুলি হল শানাই, ঢোলক, নানা রকমের বাদ্যযন্ত্র, ময়ূর প্রভৃতি। মূলত রাজস্থানের সংস্কৃতিই ধরা হয়ে থাকে এই ট্র্যাডিশনাল মেহেন্দি প্যাটার্নে। এই প্যাটার্নের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল, দুহাতে একই নকশা করা হয়।
অ্যারেবিয়ান মেহেন্দি
অ্যারেবিয়ান মেহেন্দির ক্ষেত্রে ব্ল্যাক, আউট লাইন করা হয়ে থাকে। ভেতরটা মেহেন্দি দিয়ে ভরাট করা হয় বা শেডিং করা হয়। এর ফলে মেহেন্দির ডিজাইন আরও সুন্দর করে ফুটে ওঠে। কালো আর লালের এই মিতালি অপূর্ব দেখায়। আপনি আপনার বিয়ের বেনারসির নকশা মেহেন্দি দিয়ে আঁকতে পারেন। সঙ্গে দিতে পারেন কালারফুল স্টোনের বিন্যাস ।
ফ্যান্টাসি মেহেন্দি
মেহেন্দির ডিজাইনও এখন অনেক আধুনিক হয়েছে। এই প্যাটার্নে আপনি আপনার জুয়েলারি ও আক্সেসরি-কে মেহেন্দির অঙ্গ করতে পারেন। বড়ো আংটি বা মানতাসা পরুন, এই মেহেন্দির নকশা আরও স্পষ্ট হবে।
জুয়েল মেহেন্দি
এই প্যাটার্নে আপনার ডিজাইনার এমন ভাবে নকশা এঁকে দেবেন, যা কিনা আপনার হাতের অলংকারের বিকল্প হতে পারে। অর্থাৎ মানতাসা বা আংটির অভাব পূরণ করে দেবে এই স্টোনে সাজানো নকশা। এর উপর গোল্ড ও সিলভার ডাস্টিং করা হয়, সেই সঙ্গে দেওয়া হয় নানা রঙের স্টোন।
জারদৌসি মেহেন্দি
এই মেহেন্দি শুধু হাতের পাতায় সীমাবদ্ধ থাকে না। বাজুবন্ধের বিকল্প হয়, পায়ের নুপূর হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। এখন তো মেয়েরা নাভিতেও এই মেহেন্দির নকশা তুলছেন। স্পার্কল্স লাগানো এই মেহেন্দি সত্যিই খুব আকর্ষণীয় লাগে।