ভারতবর্ষে এক এক জায়গায় মানুষ এক এক রকম খাবারের স্বাদ পছন্দ করেন। কিন্তু ভিন্ন স্বাদের বিভিন্ন রকমের snacks সকলেরই পছন্দ। আর সেই সঙ্গে যদি সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যবর্ধক স্ন্যাক্স পরিবেশন করা হয় তাহলে তো কথাই নেই।
স্ন্যাক্স বলতেই মনের পর্দায় ভাজাভুজি বা মশলাযুক্ত খাবারের ছবিই আগে ভেসে ওঠে। অনেক রান্নাই আছে যেগুলি চটজলদি বানিয়ে ফেলা যায়, যেগুলো স্বাদে লা-জবাব হতে বাধ্য। তবে খেয়াল রাখতে হবে স্বাস্থ্যের কথাও, তাই মাখন, মেয়োনিজ, রিফাইন্ড তেলের বদলে অলিভ অয়েল, আটার তৈরি নুডলস এবং পাস্তার মতো নানা জিনিস আপনি ব্যবহার করতে পারেন। চিনির বদলে ব্রাউন সুগার এবং উপর থেকে কিশমিশ দিতে পারেন। স্যালাডে হেভি ড্রেসিং-এর বদলে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল, ড্রাই ফ্রুটস, ভিনাইগ্রেট (অয়েল, ভিনিগার এবং নানা রকম হার্বস-এর মিশ্রণ) ইত্যাদি ব্যবহার আপনার স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখবে। সঠিক ভাবে Snacks রান্না করা হলে খেতেও যেমন ভালো হবে, স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি হওয়ার চিন্তাও থাকবে না।
পপকর্ন : কর্ন কার্নেল-এ ফাইবারের সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত মাত্রায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। দেখতে সাধারণ মনে হলেও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বাটার পপকর্ন গোলমরিচ দিয়ে খেতে দারুণ লাগলেও স্বাস্থ্যের জন্য অতটা উপকারি নয়। তাই বাটারের পরিবর্তে অলিভ অয়েল ব্যবহার করুন এবং উপর থেকে বিটনুন ছড়িয়ে দিন। মাইক্রোআভেনে বানানোর জন্য বাজারে যে পপকর্ন পাওয়া যায় তাতে আগে থেকেই ফ্যাট মেশানো থাকে ফলে শরীরের ক্যালোরি এবং মেদ বাড়বার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
পপকর্নের খোসায় প্রধানত পুষ্টিকর তত্ত্ব থাকে। যদি চটপটা মশলাদার, পপকর্ন খাওয়ার ইচ্ছা হয় তাহলে ব্রাউন সুগারের সঙ্গে অলিভ অয়েল মিশিয়ে একটা সস বানিয়ে নিন এবং পপকর্নগুলি ওর মধ্যে ঢেলে দিন যাতে পুরো সস-টা কর্ন কার্নেলগুলির গায়ে ভালো করে লেগে যায়। উপর থেকে দারচিনি গুঁড়ো এবং চিলি ফ্লেকস ছড়িয়ে সার্ভ করুন। ১ কাপ পপকর্নে মোটামুটি ৩০-৩৫ ক্যালোরি এনার্জি থাকে।