মিষ্টি নিয়ে চর্চা করতে হলে চমচম কে কোনও ভাবেই বাদ দেওয়া চলে না। শেষ পাতে একটু মিষ্টি চাই বাঙালির, আর সেটা যদি চমচম হয় খাওয়াটাই জমে যায়। মনে আর কোনও খেদ থাকে না।

উপকরণ : ২ লিটার ফুল ক্রিম দুধ (১.৫ লিটার ছানা+১/২ লিটার রাবড়ি), ৪টি ছোটো এলাচ, ২ বড়ো চামচ ভিনিগার, ১ কাপ চিনি রস তৈরি করতে, ২ টেবিল চামচ চিনি রাবড়ি তৈরি করতে, ৪ কাপ জল রসের জন্য, পেস্তা ও কেসর গার্নিশিং-এর জন্য।

আরও পড়ুন – ডিম্বাকৃতি পোড়াবাড়ি চমচমের জন্ম আধুনিক বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার পোড়াবাড়িতে। আধুনিক চমচম আসে মতিলাল গোরের হাত ধরে। তাঁর ঠাকুরদা রাজা রামগোরের রেসিপি এটি, যিনি উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার বাসিন্দা ছিলেন। বাদামি এবং সাদা দু’রকমেরি চমচম বাঙালির প্রিয় মিষ্টান্ন।  

প্রণালী : দেড় লিটার দুধ একটি পাত্রে ফুটিয়ে নিন। ফুটে গেলে আঁচ বন্ধ করে ভিনিগারের সঙ্গে জল মিশিয়ে দুধে অল্প অল্প ঢেলে ছানা কেটে নিন। একটি মসলিন কাপড়ে ছানার জলটা ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা জলে ভালো করে ধুয়ে নিন। ছানার জল সম্পূর্ণ নিঙড়ে নিয়ে একটি ফ্ল্যাট পাত্রে ছানাটা খুব ভালো করে মাড়ুন। ছানাটি মসৃণ হয়ে একটি ডো-এর আকার নেবে। এই ডো থেকে অল্প অল্প ছানা নিয়ে হাতের তালুর সাহায্যে লম্বাটে ওভাল শেপ দিন।

বাকি আধ লিটার দুধ ঘন করে ২ টেবিল চামচ চিনি মিশিয়ে রাবড়ি তৈরি করে নিন। আর ১ কাপ চিনি, জল ও এলাচগুঁড়ো মিশিয়ে ফুটতে দিন। চিনি পুরো গলে গেলে আরও ১ মিনিট রসটা ফুটতে দিন। আঁচ জোরে থাকা অবস্থাতেই গড়ে রাখা চমচমগুলো একটা একটা করে ফুটন্ত রসে ফেলে দিন। ২ মিনিট আঁচ হাই রেখে, মিডিয়াম করে দিন এবং ১৫ মিনিট পাত্রের মুখ ঢাকা দিয়ে চমচমগুলো রসে রান্না হতে দিন। ১৫ মিনিট পর আঁচ বন্ধ করে পাত্রের মুখ ঢাকা অবস্থায় ২ ঘন্টা রেখে দিন।

সার্ভিং ডিশে চমচমগুলো সাজিয়ে উপর দিয়ে রাবড়ি ঢেলে দিন। পেস্তা, কেসর দিয়ে গার্নিশ করে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। তৈরি আপনার মালাই চমচম।

আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...