দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ রক্তচাপ শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে প্রভাবিত করে যা হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং কিডনির নানারকম রোগের সবচেয়ে সাধারণ কারণ। এমনকী আকস্মিক মৃত্যু পর্যন্ত হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে রাখার মূল পদক্ষেপ হল— স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা। জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে কীভাবে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবেন, এই বিষয়ে রইল গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।

  • অতিরিক্ত ওজন কমানো। ওজন বেশি থাকলে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়
  • ধূমপান ত্যাগ করা। তামাক রক্তনালিগুলির দেয়ালগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং ধমনীকে কঠিন করে তোলে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা তৈরি হয়।
  • নিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়া করা প্রয়োজন, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। সবুজ শাকসবজি, ফল, গোটা শস্য, মাছ, মুরগির মাংস, বাদাম এবং মটরশুটি খাওয়া প্রয়োজন। উচ্চ পটাশিয়াম-যুক্ত খাবার যেমন— অ্যাভোকাডো, কলা, ড্রাই ফ্রুটস, টম্যাটো এবং কালো বিন খাদ্য-তালিকায় রাখা বিশেষ আবশ্যক। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে চিনিযুক্ত পানীয়, মিষ্টি, চর্বিযুক্ত মাংস এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য নৈব নৈব চ
  • উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে ডায়েটে সোডিয়ামের পরিমাণ দিনে ১,৫০০ মিলিগ্রামের কম রাখতে হবে। সুস্থ প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও সোডিয়াম গ্রহণের পরিমাণ দিনে ২,৩০০ মিলিগ্রামের বেশি (প্রায় ১ চা চামচ লবণ) হওয়া উচিত নয়। এছাড়াও অনেক প্রক্রিয়াজাত খাবারে প্রচুর পরিমাণে লবণ থাকে। উদাহরণস্বরূপ, একজন সাধারণ মানুষের প্রতিদিন যা লবণ গ্রহণ করা উচিত তার ৭৫ শতাংশ বেশি থাকে প্রক্রিয়াজাত স্যুপ, মশলা এবং টম্যাটো সসে। খাবারের পিছনে থাকা লেবেল (যেখানে সোডিয়াম লবণ হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে) দেখে ব্যবহার করা উচিত। পরিবর্তে খাবারের স্বাদ বাড়াতে মশলা এবং ভেষজ হার্ব ব্যবহার করা যেতে পারে
  • নিয়মিত অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করা। সপ্তাহে বেশ কয়েকদিন ৩০ মিনিট দ্রুত হাঁটা। যোগাসন, বাইক চালানো বা সাঁতার কাটা যেতে পারে
  • আপনার বয়স এবং উচ্চতা অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট ওজন রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যদি ওজন বেশি হয় বা স্থূলতা থাকে তবে মাত্র ৫ পাউন্ড (২.২৬৮০ কিলোগ্রাম) ওজন কমিয়েও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে
  • অ্যালকোহল সেবন নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত কিংবা বন্ধ করা উচিত। অতিরিক্ত অ্যাকলকোহল সেবন করলে নানারকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়
  • মানসিক চাপ কমানো। এর জন্য একজন কাউন্সেলর-এর সঙ্গে কথা বলুন। মেডিটেশন, রাগ-নিয়ন্ত্রণ করার কৌশল শেখা বা নিয়মিত বডি মাসাজ করার মতো পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনির রোগ, ডায়াবেটিস, স্লিপ অ্যাপনিয়া, হরমোনের সমস্যা, কানেকটিভ টিস্যু ডিসওর্ডার এবং বিশেষ ভাবে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

आगे की कहानी पढ़ने के लिए सब्सक्राइब करें

ডিজিটাল

(1 साल)
USD10
 
সাবস্ক্রাইব করুন

ডিজিটাল + 12 প্রিন্ট ম্যাগাজিন

(1 साल)
USD79
 
সাবস্ক্রাইব করুন
আরো গল্প পড়তে ক্লিক করুন...